Advertisement
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
TMC

পুর-প্রার্থী বাছাইয়ে পিকে’র ‘স্ক্যান রিপোর্ট’ই ভিত্তি 

বিবেচনার মাপকাঠি গত ৫ বছরের কাজ। এই সময়ে কলকাতার সব ওয়ার্ডে দলের কাউন্সিলর ও দলের কাজের মূল্যায়ন করেছেন পিকে।

ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।—ফাইল চিত্র।

ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।—ফাইল চিত্র।

রবিশঙ্কর দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৩০
Share: Save:

কলকাতার জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের বৈঠকে নিজের ভূমিকা বোঝাতে তিনি বলেছিলেন, 'তৃণমূলের স্ক্যানার।' ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সেই ‘স্ক্যানার’ ঘুরেই কলকাতার দলীয় কাউন্সিলরদের প্রার্থীপদ পৌঁছেছে কালীঘাটে। সূত্রের খবর, কাজের পাশাপাশি দুর্নীতি ও অনিয়মের হিসেব করে তাঁরই তৈরি করা ১৪৪ টি ওয়ার্ডের সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই চলছে। শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তালিকা চূড়ান্ত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিবেচনার মাপকাঠি গত ৫ বছরের কাজ। এই সময়ে কলকাতার সব ওয়ার্ডে দলের কাউন্সিলর ও দলের কাজের মূল্যায়ন করেছেন পিকে। দলীয় সূত্রে খবর, যে ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই তৃণমূলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অবস্থা জানিয়ে একেবারে নির্দিষ্ট করে সম্ভাবনা নিয়েও মতামত দেওয়া হয়েছে। বহু কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই আর্থিক অভিযোগ রয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ছাড়াও নানা মাধ্যমে দলের কাছে আসা সেই সব অভিযোগের সিংহভাগ যাচাই করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ—প্রায় সব অঞ্চলেই এই রকম অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ওয়ার্ড চিহ্নিত করে দলের করণীয় সম্পর্কেও পরামর্শ দিয়েছে টিম পিকে। ইতিমধ্যেই বার দুই পিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে দলের শীর্ষস্তরে আলোচনা হয়েছে। তবে এই রকম বদলের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি মমতার হাতেই রয়েছে। দলের এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘‘টিম পিকে পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের মতামত জানিয়েছে। বাকিটা নেত্রী ঠিক করবেন।’’

এই অবস্থায় এলাকার নির্বিশেষে বড় সংখ্যক ওয়ার্ডেই ‘মুখ’ বদল নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা হয়েছে। কোথায়, কী পরিবর্তন করা গেলে ভাবমূর্তি সংক্রান্ত বাধা কাটানো যাবে তা নিয়েও কথা হয়েছে। সেই কারণেই শহরের হেভিওয়েট মন্ত্রী-বিধায়কও নিজেদের এলাকায় জানিয়ে দিতে শুরু করেছেন যে এ বারের নির্বাচনে মনোনয়নের ব্যাপারে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রেও বিদায়ী কাউন্সিলরের পরিবারের সদস্য বা পছন্দের কাউকে ‘টিকিট’ দেওয়াও এবার চেনা পথে হবে না বলেও জানা গিয়েছে।

তৃণমূলের হাতে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরভোটের নিরিখে কলকাতায় এখনও বামেদের প্রভাব কম। কংগ্রেসের আরও কম। সিংহভাগ অঞ্চলেই তৃণমূলের প্রধান চ্যালেঞ্জার বিজেপি। তৃণমূলের হাতে থাকা বহু ওয়ার্ডে এ বার তীব্র লড়াই হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পরিষেবামূলক কিছু কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সকলকে। এই কাজেও কাউন্সিলরের উপর নির্ভর না করে তদারকির দায়িত্ব নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রয়োজনে সেই কাজ শেষ করতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE