শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না দুলাল দাস।
শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না মহেশতলার তৃণমূল বিধায়ক তথা শোভনের শ্বশুরমশাই দুলাল দাস। বুধবার নবান্নে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পর তাঁদের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে দুলালের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। দুলাল ওই বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে পাশাপাশিই তিনি বলেছেন, এ সব ক্ষেত্রে মমতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
দুলালের কন্যা তথা শোভনের পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও এখন তৃণমূলের বিধায়ক। বস্তুত, শোভনের ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র বেহালা পূর্বেই তাঁকে টিকিট দিয়েছিলেন মমতা। শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত রত্নাও কোনও মন্তব্য করেননি। তৃণমূল সূত্রের খবর, রত্নাকে কোনও মন্তব্য করতে বারণ করা হয়েছে। তাঁর বাবা দুলালের মতোই তিনি দলের সর্বোচ্চ এবং সর্বময় নেত্রীকেই দেখিয়ে দেবেন। তবে ঘটনাচক্রে, এর আগেও দলের এমন নিষেধাজ্ঞা ভেঙে রত্না শোভন-বৈশাখী নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এবারও তিনি তেমন কিছু করেন কি না, সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, শোভন দল এবং মন্ত্রিত্ব-সহ শাসক শিবিরের যাবতীয় ক্ষমতা ত্যাগের পর দুলাল তাঁর জামাতা সম্পর্কে একাধিক বার যা বলেছেন, তাতে ‘হিতৈষীসুলভ’ কিছু ছিল না। থাকার কথাও নয়। কৌতূহল ছিল, শোভন এবং বৈশাখীর সঙ্গে মমতার নবান্নে একান্ত বৈঠকের পর যখন যুগের তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে, তখন দুলাল কী বলেন।
ফোনে দুলালের গলা শুনে তাঁকে যথেষ্ট ক্ষুব্ধই মনে হয়েছে। তবে তিনি শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে কোনও ‘অকরুণ’ মন্তব্য করেননি। সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন, ‘‘আমার কোনও ইয়েই (সম্ভবত ‘রুচি’) নেই ওদের নিয়ে কথা বলার!’’ পাশাপাশিই মহেশতলার বিধায়ক বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন। তিনি যেটা ভাল মনে করেন করবেন। কিন্তু যে নামগুলি নিয়ে আলোচনা চলছে, তাঁদের নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না!’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy