আরএসপি-কে বেদখল দফতর ফেরিয়ে দিতে সক্রিয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
আরএসপি-র হুগলি জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কিশোর সিংহ চিঠি দিয়েছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। অভিযোগ করেছিলেন, চুঁচুড়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবীতলা ব্যারাক রোডে তাঁদের দীর্ঘদিনের পুরনো দলীয় দফতরটি জোর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাতারাতি পাঁচিল গেঁথে দেওয়া হয়েছে।
কিশোর চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আরএসপি-এ ওই অফিসটি ব্রিটিশ আমলে বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতির দফতর ছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গোপন মিটিং হতো। পরে আরএসপি-র কার্যালয় হয় সেখানে। মাস্টারদা সূর্য সেনও এসেছেন এই অফিসে। স্বাধীনতা সংগ্রামের দস্তাবেজ রয়েছে একটি আলমারিতে। দলের নথিপত্র পতাকা রয়েছে আরেকটিতে’। কিশোরের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও নিয়মিত খোলা হয়ে মাধবীতলা ব্যারাক রোডের দফতর। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে দফতরের দরজা বন্ধ করে ইটের পাঁচিল দিয়ে দেওয়া হয়।
শনিবার তা দেখার পরেই চুঁচুড়া থানার পুলিশে অভিযোগ করেন কিশোর। স্থানীয় বিধায়ক অসিতকেও বিষয়টি জানান। সোমবার অসিত এলাকায় গিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখেন। আরএসপি-র দফতর যে বাড়িটিতে রয়েছে, তার মালিক স্থানীয় মদ ব্যবসায়ী নরেশচন্দ্র ঘোষ। নরেশকে ডেকে অসিত জানতে চান, কেন আরএসপি-র দফতর বন্ধ করা হয়েছে। নরেশ জানান, ২০১৪ সাল থেকে বাড়ি ভাড়া পাননি। আরএসপি নেতৃত্বকে বলা হয়েছিল, আমা ইট আর চুন-সুরকি গাঁথনির ঘরটির অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে। বিধায়ক জানান, জোর করে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। তৃণমূলের বিরোধী দলের সঙ্গেও যদি অন্যায় হয়, তা বরদাস্ত করা হবে না। কিছু সমস্যা থাকলে তার জন্য আইন আছে। বিধায়কের সঙ্গে কথা বলার পর ইট গাঁথা পাঁচিল ভেঙে দেবেন বলে জানান নরেশ। কিশোর জানান, বাড়ির মালিক অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। তারপর কবে, কার থেকে নরেশ ওই সম্পত্তি কিনেছেন, তা তাঁদের জানা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy