অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে আবেদনকারীদের বার্ধক্যভাতা দেবেন তিনি। সেই মতো এ বার বার্ধক্যভাতা দেওয়ার কাজ শুরু করবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ জানুয়ারি পৈলানে সভা করে এই পরিষেবা প্রদানের কাজ শুরু করার কথা তাঁর। বিষ্ণপুর, ফলতা, ডায়মন্ড হারবার, বজবজ, মহেশতলা, সাতগাছিয়া ও মেটিয়াবুরুজ— এই সাত বিধানসভা নিয়ে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা। সাংসদের দফতর সূত্রে খবর, প্রত্যেক বিধানসভার জন্য আলাদা আলাদা সভা করে বার্ধক্যভাতা দেওয়ার কথা অভিষেকের। শনিবার এ বিষয়ে সাংসদের দফতরে একটি বৈঠকও হয়েছে।
আপাতত ঠিক হয়েছে, ৭ জানুয়ারি বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্র দিয়েই এই কাজ শুরু হবে। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ তাঁর পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করবেন বলে বিষ্ণুপুরবাসী খুশি। সাংসদ যা কথা দেন, তা যে তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন এই ঘটনাই তা প্রমাণ করে দেয়।’’ রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। সেই ভোটে তৃতীয় বার ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হবেন অভিষেক। সেই লক্ষ্যেই তিনি নতুন বছরে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পরিষেবা প্রদান করেই ভোটের প্রচারই শুরু করে দিতে চাইছেন। তাই এই পরিষেবা প্রদানের কাজ একটি মঞ্চ থেকে না করে সাতটি মঞ্চ থেকে করতে চাইছেন। সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে বার্তা দিতে চাইছেন যে, তাঁদের সাংসদ যেমন প্রতিশ্রুতি দেন, তেমনই তা রক্ষাও করেন।
উল্লেখ্য, পুজোর পরে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে বার্ধক্যভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। তাঁর ঘোষণা ছিল, যে ৭০ হাজার আবেদনকারী এখনও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত, দলের তরফে তাঁদের বার্ধক্যভাতা দেওয়া হবে। অভিষেকের ঘোষণা মতোই গত ৬ ডিসেম্বর থেকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে ২০৩টি শিবির চালু করে তাঁর দফতর। সেখানে আটকে থাকা আবেদন চিহ্নিত করার পাশাপাশি নতুন আবেদনপত্রও সংগ্রহ করছেন তৃণমূলের কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy