প্রতীকী ছবি।
ঘড়ি ধরে আসতে হবে। সময় মেপে বসতে হবে।
রাজ্য দফতরে আসা কর্মীদের সমস্যার কথা শুনতে দলীয় নেতাদের জন্য এই রুটিন বেঁধে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সপ্তাহ জুড়ে কোন নেতা কোন বিষয়ে কথা বলতে রাজ্য দফতরে থাকবেন, একেবারে নোটিস আকারেই সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেন দলীয় নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই তালিকায় নেই।
দল ও প্রশাসনিক নানা কাজে দলীয় কর্মীদের সহযোগিতায় ফের নেতাদের রাজ্য দফতরে বসার এই নিয়ম বেঁধে দিল তৃণমূল। দলের পাশাপাশি কয়েকটি শাখা সংগঠনের নেতাদের এই তালিকায় রাখা হয়েছে। দলের চার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও সপ্তাহে এক দিন করে জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীদের সমস্যা শুনবেন। প্রয়োজন মতো পরামর্শও দেবেন। দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সর্বভারতীয় ও রাজ্য সভাপতি দোলা সেন ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য। এ ছাড়াও বসার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে মণীশ গুপ্ত, মালা রায়, শান্তনু সেনের মতো নেতাদের।
রাজ্যব্যাপী শিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় রাখা হয়েছে প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের। তাঁদের মধ্যে আছেন অশোক রুদ্র, দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণকলি বসু। দৈনন্দিন রাজনীতি ও সংগঠন নিয়ে নেতা-কর্মীদের কথা শুনবেন সব্যসাচী দত্ত, শুভাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, সমীর চক্রবর্তী, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়রা।
শাখা সংগঠনগুলির মধ্যে যুব তৃণমূলের সক্রিয়তা গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য জুড়ে এই মুহূর্তে সংগঠনের সদস্য সংখ্যাও তুলনায় অনেক বেশি। সংগঠন ও রাজনীতি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে মত বিনিময় করতে দফতরে নিয়ম করে বসবেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। খেতমজুর সংগঠনের তরফে প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, হিন্দি সেলের বিবেক গুপ্ত, সংখ্যালঘু সেলের হাজি নুরুলও নিয়ম করে বসবেন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মত বিনিময়ের লক্ষ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy