পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সাংসদের উপর হামলার পরে অভিযুক্ত কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু ত্রিপুরায় তাঁদের দলীয় কার্যালয়ের উপর হামলার পরেও বিজেপি সরকার কেন কোনও ব্যবস্থা নিল না, সে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের নেতারা। এই নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তাঁদের চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে।
আগরতলায় চিত্তরঞ্জন রোডে তৃণমূলের দফতরে মঙ্গলবার হামলা চালানো হয়। বুধবার তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক ও দলীয় নেতৃত্বের একটি প্রতিনিধি দল আগরতলা আসে। সেখানে তাঁদের বিমানবন্দরেই আটকানো হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে তাঁরা এ দিন আগরতলা নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ঠিকই, কিন্তু রাজ্যের রাজ্যপালের সাক্ষাৎ চেয়ে যে আবেদন তাঁরা করেছিলেন, তার কোনও সুরাহা হয়নি। রাজ্যপাল দিল্লি রওনা দেওয়ায় তৃণমূল নেতাদের সময় দিতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতা তথা অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘যেখানে পশ্চিমবঙ্গে সাংসদের উপরে হামলার ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সে রাজ্যের পুলিশ, সেখানে ত্রিপুরায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটা এজাহার পর্যন্ত নেয়নি।’’ রাজভবন থেকে ফিরে কুণাল বলেন, ‘‘ত্রিপুরা থেকে নেতারা অবাধে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেখানে তো এই রকম ঘটনা ঘটছে না।’’ তাঁর দাবি, রাজ্যপালের সচিবকে সব ঘটনা জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অসমের সাংসদ সুস্মিতা দেব দাবি করেন, ‘‘বিজেপির মুখপাত্র নিজে স্বীকার করেছেন, তাঁরা তৃণমূল অফিসে হামলার সঙ্গে যুক্ত। ঘটনায় যুক্তিদের ছবিও অভিযোগপত্রের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করব, পুলিশ দল এবং ব্যক্তি পরিচয় না দেখে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।’’
কুণালদের দাবি সম্পর্কে বিজেপির শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘‘ত্রিপুরায় ওঁরা রাজনৈতিক পর্যটন, না কি দৃষ্টি ঘোরাতে গিয়েছেন, সেটা বাংলার মানুষের উপরে ছেড়ে দেওয়াই ভাল।’’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাংলায় জগৎপ্রকাশ নড্ডা, খগেন মুর্মুরা অবাধে ঘুরতে পারেন? যখন মহেশতলার ঘটনা নিয়ে ভবানীপুরে যাই, তখন অফিসে থাকা সত্ত্বেও ডিজি দেখা করেননি। তৃণমূলের ১৪ পুরুষের কপাল ভাল, মানিক সাহার ডিজি ওঁদের জামাই আদর করেছেন।’’ ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যও পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার কথা বলে কুণালদের খোঁচা দেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)