আসানসোলে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। বুধবার রাতে এই মর্মে মহকুমা প্রশাসন ও আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক ও পুলিশের কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়েছেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। বাবুলের অবশ্য দাবি, ভুল হয়ে থাকলে তা অনিচ্ছাকৃত।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটকের প্রশ্রয়ে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, এই অভিযোগে বুধবার মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা তৃণমূল নেতা রবিউল ইসলাম বুধবার রাতে মহকুমা প্রশাসন ও আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, মন্তেশ্বরে উপ-নির্বাচনের জন্য জেলা জুড়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গাড়িতে লাল বাতি জ্বালিয়ে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তা লঙ্ঘন করেছেন।
জেলাশাসক জানান, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী যে জেলায় ভোট হচ্ছে সেখানে একমাত্র সরকারি কর্মসূচিতেই নেতা-মন্ত্রীরা লালবাতি লাগানো গাড়িতে যাতায়াত করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি রিপোর্ট চেয়েছি। অভিযোগ সত্যি হলে তা কমিশনে পাঠানো হবে।’’ বাবুল বলেন, ‘‘এই বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। সরকারি কোনও আধিকারিক আমাকে জানাননি। এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’’
বুধবার দলের কর্মী-সমর্থকদের উপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগে এবং গাড়ি ভাঙচুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দলের সাংসদ বাবুলকে ইট ছোড়ার ঘটনার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার আসানসোল বন্ধ ডেকেও রাতে তা তা প্রত্যাহার করে বিজেপি। বাবুল নিজে এই বন্ধের আপত্তি তোলায় পিছিয়ে আসেন দলের নেতা-কর্মীরা। তবে বৃহস্পতিবার আসানসোলে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি
কিন্তু দলের কর্মীদের মারধর বা গাড়ি ভাঙচুরের কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি বিজেপি। দলের আসানসোল জেলা সভাপতি তাপস রায় দাবি করেন, কত জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, কতগুলি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে তার পুরো হিসেব হাতে আসার পরেই অভিযোগ করা হবে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার শহরে কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। পুলিশি টহল রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy