হাতছাড়া নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রস্তুতি আলাদা ভাবেই করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই জেলাভিত্তিক বৈঠকে নন্দীগ্রামের সংগঠন বা প্রস্তুতি নিয়ে কোনও আলোচনা করলেন না দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাসত ও তমলুক সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মঙ্গলবার সাধারণ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই ব্লক স্তরে রদবদলের প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
নন্দীগ্রামে গত ২০২১ সালে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও দলের বিপুল জয়ের মধ্যে দলনেত্রীর হারের আঘাত তৃণমূলের কাছে মর্যাদার প্রশ্ন হয়ে উঠেছিল। সেই কারণেই রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নন্দীগ্রামের ভোট-প্রস্তুতিকে একেবারে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। তাই তমলুক সাংগঠনিক জেলার পর্যালোচনা বৈঠকে এই এলাকার অন্তর্গত হওয়া সত্ত্বেও নন্দীগ্রামের নেতাদের ডাকা হয়নি। অন্য ৬টি বিধানসভা এলাকার নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নন্দীগ্রামের বৈঠক হবে আলাদা ভাবে। গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব ও সাংগঠনিক দুর্বলতার মোকাবিলায় এই কেন্দ্রের জন্য একেবারে আলাদা প্রস্তুতি নিতে চাইছেন অভিষেক।
জেলাওয়াড়ি বৈঠকে এ দিন ডাকা হয়েছিল বারাসত ও তমলুক সাংগঠনিক জেলার দলীয় নেতৃত্বকে। বারাসতের সাংসদ, বিধায়ক ও দলীয় পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠকে লোকসভার ভোটের ফল নিয়ে আলোচনা হয়। তার ভিত্তিতে আগামী বিধানসভা ভোটে কী করণীয়, তা ব্যাখ্যা করেন অভিষেক। একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তমলুকের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের। লোকসভা ভোটে বারাসতে জিতলেও শহুরে ভোটের নিরিখে একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে। তমলুকেও বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা দলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ের কথা বলেছেন অভিষেক। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার বুথভিত্তিক যে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে, তাকে সামনে রেখে জনসংযোগ এগিয়ে রাখতে বলা হয়েছে স্থানীয় নেতাদের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)