ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে রাখা হয়েছে সুস্মিতা দেবকেও। ফাইল চিত্র
তৃতীয়বার বাংলা দখলের পর যে ত্রিপুরাই তাদের লক্ষ্য তা বোঝা গিয়েছিল অনেক আগেই। বুধবার মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের শুরুতে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কমিটি ঘোষণা করল কালীঘাট। তৃণমূলের তরফে ১৯ জনের রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি, যুব সংগঠনের রাজ্য কমিটিও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। মূল সংগঠনের ১৯ জনের রাজ্য কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সুবল ভৌমিককে। এ ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, আশিসলাল সিংহ, কৃষ্ণধন নাথ, দেবব্রত দেবরায়, আব্দুল বাসিত খান, ত্রিদিব দত্ত, শম্পা দাস, কল্পমোহন ত্রিপুরা, মোমিন খান, নীলকান্ত সিনহা, শর্মিষ্ঠা দেব সরকার, রবি চৌধুরী, শিবানী সেনগুপ্ত, ইদ্রিশ মিঞা, অঞ্জন চক্রবর্তী, অনিতা দাস ও মিলন জামাতিয়া প্রমূখ।
যুব সংগঠনের জন্য যুব কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই যুব কমিটিতে নতুন আহ্বায়ক করা হয়েছে বাপ্টু চক্রবর্তীকে। এ ছাড়াও রয়েছেন রাকেশ দাস, শান্তনু সাহা, জাকির হুসেন, উত্তম কালুই, মৃণালকান্তি দেবনাথ, সুমন দে, চিরঞ্জিত পাল, সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত, দীপান্বিতা চক্রবর্তী ও অনিত দেববর্মা।
মঙ্গলবার কলকাতায় এসে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন আশিস। সঙ্গে তৃণমূল যোগদানেরও জল্পনাও উস্কে দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কলকাতা এসেই তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকও সেরে ফেলেছন আশিস। বাংলা দখলের পর, ২০২৩ সালের ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেছে তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। নতুন রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেব ও তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিককে সামনে রেখেই নতুন এই রাজ্য কমিটি তৈরি করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে ত্রিপুরায় গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। গিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ১৪ অগস্ট ত্রিপুরা জুড়ে খেলা হবে দিবস-ও পালন করেছে তৃণমূল। এ বার সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েই ত্রিপুরায় বিজেপি-র বিকল্প হতে চাইছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy