সভা বানচাল করতে এত দিন তৃণমূল হুমকি দিচ্ছিল, সভার দিন সকাল থেকে পুলিশ পথে নেমেছ। দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। —ফাইল চিত্র।
এক দিকে কংগ্রেসকে জোটের বার্তা। অন্য দিকে কংগ্রেসের জনসভা ভেস্তে দিতে দল এবং প্রশাসনকে একযোগে কাজে লাগানোর অভিযোগ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর খাসতালুকে কংগ্রেসের সভা ‘বানচাল’ করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে তৃণমূল। অভিযোগ খোদ অধীরেরই। আজ বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সমাবেশ। গোটা জেলা থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের বহরমপুরে আনার প্রস্তুতি চলছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু কংগ্রেস অভিযোগ করছিল, বাস এবং গাড়ি মালিকদের সংগঠনগুলিকে ফতোয়া দিয়ে রেখেছে তৃণমূল। কংগ্রেসকে বাস বা গাড়ি না দিতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে পুলিশ-প্রশাসনও সভা ভেস্তে দিতে পথে নেমেছে বলে অধীর চৌধুরীর দাবি। জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে ইচ্ছাকৃত ট্র্যাফিক জ্যাম করাচ্ছে পুলিশ, অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।
মুর্শিদাবাদের যে কোনও প্রান্তেই অধীর চৌধুরীর সভায় জনজোয়ার দেখা যায়। জেলা পরিষদ এবং পুরসভাগুলি একে একে তৃণমূল ভাঙিয়ে নেওয়ার পরেও বহরমপুরের বুকে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে সমীহ করার মতো জমায়েত দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের সভায়। কংগ্রেসের দাবি, অধীর চৌধুরীর সমাবেশে ভিড় হলে অস্বস্তি লুকিয়ে রাখা কঠিন হয় তৃণমূলের পক্ষে। সেই কারণে জেলা কংগ্রেসের এই সভা ভন্ডুল করতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল, কাজে লাগানো হচ্ছে পুলিশকেও।
কংগ্রেস কর্মীদের বহরমপুর পৌঁছনোর পথে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হলেও, টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে অধীর চৌধুরীর সভায় ভিড়ের বহর কিন্তু ভালই। ছবি সৌজন্যে: প্রদেশ কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, প্রস্তুত দুর্গাপুর
সোমবার সকালে অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের জনসভা বানচাল ও দুর্বল করতে পরিকল্পিত ভাবে বাস বন্ধ করা হল। আজ জাতীয় সড়কে ইচ্ছাকৃত ট্র্যাফিক জ্যাম করাচ্ছে পুলিশ, যাতে মানুষ না আসতে পারে। কংগ্রেস কর্মীদের বাস ও গাড়ি বড়ুয়া ব্লকে আটকানো হচ্ছে।’’ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই আঙুল তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘‘দিদির রাজ্যে অন্য কোনও রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে চাইলেই এই ভাবে পরিকল্পনা মাফিক বাধা দেওয়া হচ্ছে। ধিক্কার জানাই।’’
আরও পড়ুন: দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পুরনোদের ফেরাতে ডাক
সভা বানচাল করার চেষ্টার অভিযোগ মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন আগেই নস্যাৎ করেছিল। সোমবার তৃণমূলের তরফেও সে অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৌমিক হোসেন বলেছেন, ‘‘নাচতে না জানলে উঠোনের দোষ। অধীর চৌধুরীর সভায় আগে বিরাট ভিড় হত। এখন আর অধীর চৌধুরীর ডাকে লোক আসে না। আজকের সভায় যে ভিড় হবে না, আগে থেকেই কংগ্রেস জানত। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy