আগামী মে মাসের পঞ্চায়েত ভোটেও অংশ নেবে তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হলেও, গোয়ার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দেবে তৃণমূল। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে পরাজিত হলেও, দমে যেতে নারাজ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই শনিবার গোয়ায় একটি ঘরোয়া বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফে। সেই বৈঠকে হাজির থাকার কথা থাকলেও, যাননি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, হরিয়ানার নেতা অশোক তানোয়ার ও তৃণমূলের গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৌরভ চক্রবর্তী বৈঠক করেন গোয়া তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে। পরাজয়ের পর এক জন দলত্যাগ করলেও ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন তৃণমূলের সঙ্গে। এমনটাই দাবি গোয়া তৃণমূলের। বৈঠকে ছিলেন গোয়ার প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো ও চার্চিল আলেমাও।
২৫ জন প্রার্থীর সঙ্গে গোয়া তৃণমূলের রাজ্য নেতারাও হাজির হয়েছিলেন বৈঠকে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী মে মাসে গোয়ায় পঞ্চায়েত ভোট। সেখানেও অংশ নেবে তৃণমূল। এখন থেকেই দলের নেতাদের এ বিষয়ে নিচুতলায় কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে এমন সব আসনে বাছাই করে প্রার্থী দিতে হবে, যাতে পরিশ্রমের ফসল ঘরে তোলা যায়। সঙ্গে এমন নেতৃত্ব তৈরি করতে বলা হয়েছে, যাঁরা আগামী দিনে গোয়ায় দৃঢ় ভাবে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। বৈঠকে দলের নেতাদের একটি ই-মেল আইডি দেওয়া হয়েছে। যেখানে তাঁরা দলকে নিজেদের অভাব-অভিযোগের পাশাপাশি, পরামর্শও দিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, এ বারের বিধানসভা ভোটে ২৬টি আসনে লড়াই করেছিল গোয়ার তৃণমূল। নেতৃত্বের দাবি, ২৬টি আসনে লড়াই করে ৮.৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তাঁরা। আম আদমি পার্টি গোয়ায় দু'টি আসন পেলেও আটটি আসনে তারা তৃণমূলের থেকে অনেক কম ভোট পেয়েছে। গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা বলেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের পর তৃণমূলের পক্ষে জাতীয় রাজনীতিতে সম্ভাবনা আরও উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে। আমরা গোয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, এখানকার মানুষ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে বিকল্প শক্তি হিসেবে বেছে নেবেন।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘গোয়ার ভোটে পরাজয়ের পরেও আমরা মানুষের সাড়া পাচ্ছি, তাতে বুঝতে পারছি আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে আমাদের ফল ভাল হবে।’’
অন্য দিকে, সুস্মিতা, সৌরভ ও অশোককে গোয়ার ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে একটি রিপোর্ট তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy