তখন ব্যাকস্টেজে। বৃহস্পতিবার রণজিৎ নন্দীর তোলা ছবি।
পিসির নিশানায় ছিল বিজেপি। আর ভাইপোর চাঁদমারিতে থাকল মূলত সিপিএম এবং কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় একুশের সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূলের যুব সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো তুলোধনা করলেন বিরোধী জোটকে।
বিধানসভা ভোটের প্রচারে পার্ক সার্কাস ময়দানে রাহুল গাঁধী এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের যৌথ সভার প্রসঙ্গ টেনে এ দিন অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘ওঁদের দু’জনকে কংগ্রেস-বাম কর্মীরা একই সঙ্গে রজনীগন্ধার মালা পরিয়েছিলেন। কারণ, তাঁরা জোটের অকাল মৃত্যু নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন!’’ এর পরে আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রথমে সিপিএমে ছিল মার্ক্সবাদ। পরে তারা হয়েছিল হার্মাদ। ২০১১-য় হেরে হল উন্মাদ। আর ২০১৬-য় বরবাদ!’’
খাতায় কলমে ‘শহিদ দিবস’-এর সমাবেশের আয়োজক তৃণমূলের যুব সংগঠন। কিন্তু ফি বছরই কর্তৃত্ব থাকে দলনেত্রীর হাতে। যদিও এ বার বহু জায়গায় একুশের সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় অভিষেকের প্রাধান্য ছিল বলেই দলের একাংশের বক্তব্য। কিছু এলাকায় অভিষেকের ‘নির্দেশ’ মেনে ধর্মতলার সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের যোগ দিতে বলে প্রচার চালানো হয়েছিল। তবে যুব সংগঠনের একটি সূত্রের ব্যাখ্যা, সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্যোক্তা যুব তৃণমূল। তাই যুব সংগঠনের প্রধান হিসেবে অভিষেকের ‘আবেদনে’র কথা প্রচার করা হয়েছে।
এবং অভিষেকের উদ্যোগে এ বার সমাবেশে জনসমাগম অন্যান্য বারের নজির ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি। অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদদের কথা সব সময় মনে রেখেছেন। তাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতি অভিষেকও রেকর্ড জমায়েত করে শহিদদের স্মৃতির যোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন।’’ এ দিনের সমাবেশে মমতা জানান, আগামী বছর ২১শে জুলাইয়ের ঘটনার ২৫ বর্ষপূর্তি। সেই উপলক্ষে বছরভর নানা কর্মসূচি নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy