মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে পড়ুয়াদের একজোট হওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বক্তৃতায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ছাত্রযুবদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাই পথ দেখাক। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সারা দেশে যোগাযোগ গড়ে তুলুক ছাত্রছাত্রীরা।’’ সেই সঙ্গে ছাত্রযুবদের জন্য ‘সবুজ সাথী’ থেকে ১০ লক্ষ টাকার ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’-সহ যে সব প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে, তার খতিয়ানও তুলে ধরেন মমতা।
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘‘এই সরকার দানবিক, অমানবিক। সারা দেশেই পড়ুয়াদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আমাদের মাথায় রাখতে হবে, শিক্ষার্থীরা আমাদের ভবিষ্যৎ। রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণে আরও জোর দিতে হবে আমাদের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পকেটে একটা নেংটি ইঁদুর ঢুকিয়ে রেখেছো। ওটা তোমার নিজের পকেটই কেটে দেবে। ইডি একটা কাগজ পাঠাবে, আমি বস্তা ভরে কাগজ পাঠাব। এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি কখনও দেখিনি। আমরা এমন রাজনীতি করি না। তোমার দলের বিরুদ্ধে কতটা পদক্ষেপ করেছ? উত্তরপ্রদেশে হাথরসের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন পাঠিয়েছ? সিবিআই-তে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু বিজেপি নেতাকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে কেন যাবে? মানবাধিকার কমিশন কি শুধু বাংলার জন্য? ত্রিপুরার জন্য নয়? ওখানে রোজ মারছে আমাদের কর্মীদের। সব কমিশনকে রাজনৈতিক করে দিয়েছে। প্রত্যেকে বিজেপি-র সদস্য।’’
কয়লা-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর রুজিরা ও এবং ৩ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ইডি-র অফিসে তলব করা হয়েছে। বাংলায় গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেও অভিষেকের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে গিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘অভিষেকের সঙ্গে পারলে রাজনীতির লড়াই লড়ো।’’
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘‘সবুজ সাথী প্রকল্পে ১ কোটির বেশি সাইকেল দেওয়া হয়েছে। আরও দেওয়া হবে। ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে। শোধ করা যাবে ৪০ বছরে। এ রাজ্যে স্কুল, কলেজে অনেক নিয়োগ হয়েছে। দেশের তুলনায় এ রাজ্যে বেকারত্ব অনেক কম। এ রাজ্যে বেকারত্ব ৪৫ শতাংশ কমেছে। দেউচা পাচামির প্রকল্পে অনেক বিনিয়োগ হবে। তাজপুরে গভীর বন্দর হচ্ছে। রঘুনাথপুরে জঙ্গলসুন্দরে শিল্পনগরী হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। আইটি-তে বিপুল কর্মসংস্থান হবে। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে অনেক কর্মসংস্থান হবে। রাজ্যে ৬৮টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বিশ্ববাংলা হাব-সহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। রাজ্যে ২ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি আইটি কর্মী রয়েছেন। ডেটা রিসার্টচ সেন্টার তৈরি হলে ওই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান আরও বাড়বে। উৎকর্ষ বাংলায় ৬ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে চাকরি পেয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy