মেয়ো রোডের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র
মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যে এনআরসি চালু করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, প্রতিবাদ করলেই সিবিআই-ইডি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলের কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। কাজ করলে লবি করারও দরকার হয় না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ছাত্র সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলেও এদিন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যা বললেন তৃণমূল নেত্রী
• আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ছাত্র সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
• প্রতিবাদ করলেই পিছনে সিবিআই, ইডি লাগিয়ে দিচ্ছে।
• ওদের টাকা আছে, আমাদের টাকা নেই। আমাদের হৃদয় আছে। আমাদের ডেডিকেশন আছে।
• তোমরা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক কর তো? ভাল করে করবে। একটা বাজে কথা বললে ১০টা জবাব দেবে। এমন জবাব দেবে, যেন পালিয়ে যায়।
• ওদের তো বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। এখন থেকেই বলুন, ২০১৯, বিজেপি ফিনিশ।
• বলছে, এখানে এনআরসি করতে হবে। কে চালু করবে এখানে? এখানে আমরা বাঘের বাচ্চারা বসে আছি। অত সহজ নয়।
• যদি কোনও সাংবাদিক নিজের দায়িত্ব পালন করতে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে, তা হলে তার চাকরি খেয়ে নিচ্ছে। এনকাউন্টারের নামে যাকে তাকে খুন করে দিচ্ছে।
• এক এক জন হরিদাস জন্ম নিয়েছে এ দেশে। কালিদাস নেই, এখন সব হরিদাস।
• সিপিএমের হয়ে যে লোকগুলো ৩৪ বছর অত্যাচার করেছে, তারাই আজ বিজেপির বড় বড় ওস্তাদ হয়েছে। সিপিএমের হার্মাদ হয়েছে বিজেপির জল্লাদ।
• বাংলার ভাল সহ্য হয় না দিল্লির। শুধু অশান্তি করা কাজ। দার্জিলিং নিয়ে করল। ৬ মাসের জন্য দার্জিলিং-এ অশান্তি করেছিল। অনেক কষ্টে পরিস্থিত শান্ত করেছি। জঙ্গলমহলে দেখাল। সিট তো পায়নি। কয়েক হাজার সিটের মধ্যে কয়েকটা পেয়েছে। তাতেই জঙ্গলমহলে খুনোখুনি শুরু করে দিয়েছে। খুনোখুনির রাজনীতি আমি বরদাস্ত করব না।
• দেশকে ভেঙে ফেলার এক জঘন্য চক্রান্ত চলছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে কে? বাংলার সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে।
• টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। টাকা নিয়ে চরিত্র নষ্ট করতে নেই। টাকা মাটি, মাটি টাকা। টাকা সব নয়। ডেডিকেশনটাই সব। টাকা থাকলেই হয় না। ডেডিকেশন দরকার।
• কাজ করতে গেলে লবি করার দরকার নেই। আপনি ভাল কাজ করলে মানুষ আপনাকে খুঁজে নেবে। তোমার কাজই তোমার পরিচয়।
• স্ট্রাগল ইজ ডেস্টিনি।
• ছাত্রছাত্রীদের অনেক দায়িত্ব। তোমরা শুধু আজকের জন্য নও। আজ-কাল-পরশু গড়বে তোমরা।
• এখানে অনেক ছাত্র নেতা উপস্থিত আছে। আমরা যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম, সিনিয়ররা আমাদের সামনে আনত না। আমরা কিন্তু আনি।
• আমি তখন ছাত্র রাজনীতি করি। জগুবাবুর বাজারে আমার বক্তৃতা শুনে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। আমরা বক্তব্যের প্রশংসা করেন। সেটা ৭৫-৭৬ সাল।
• আবার সেই সময় তারাতলায় একটি সভা করেছিলাম। একজন আমাকে দু’টি তালশাঁসের সন্দেশ খাইয়েছিলেন। আর বলেছিলেন, তোমার বক্তব্য আমার খুব ভাল লাগে। তিনি ছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি।
সভা শুরুর আগে মেয়ো রোড থেকে লাইভ।
আরও পডু়ন: পঞ্চায়েতের অশান্তিতে ব্যক্তিস্বার্থই বড়, বললেন মমতা
আরও পড়ুন: বোর্ড গঠন ঘিরে গুলি-বোমা পুরুলিয়ায়, হত বিজেপির দুই সমর্থক
যা বললেন অভিষেক
• আপনারা সব সময় মেরে হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেন, মাটিতে পুঁতে ফেলার কথা বলেন। আমি দিলীপবাবুদের প্রশ্ন করতে চাই, আপনি কোন হাসপাতালে পাঠাবেন। যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন, সেখানে? আপনি কোন মাটিতে পুঁতবেন, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনার ফসল ফলিয়েছেন।
• আপনাদের দলে লোক কোথায়? প্যান্ডেল করতে গেলে রাঁচী থেকে লোক ভাড়া করে আনতে হয়। সভা ভরাতে গেলে ঝাড়খণ্ড থেকে লোক আনতে হয়। নেতা নেই, কর্মী নেই, তাঁরা আবার এ রাজ্যে ২২টি লোকসভা আসনে জেতার স্বপ্ন দেখছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy