সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ এবং সমীর চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিপুরায় বিজেপি জঙ্গলরাজ কায়েম করেছে বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল। সোমবার বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে নতুন করে হিংসার ঘটনার পরে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি তুলেছেন দলের দুই নেতা কুণাল ঘোষ এবং সমীর চক্রবর্তী। পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সে রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবের ইস্তফাও দাবি করেন।
ত্রিপুরার ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার পাঁচ নেতাকে সংগঠন বিস্তারের দায়িত্ব দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা। সেই তালিকায় রয়েছেন দলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর। কুণাল সোমবার বিজেপি এবং ত্রিপুরা সরকারের পাশাপাশি নিশানা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও। বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে কমিশন তৎপর হলেও ত্রিপুরা জুড়ে মানবাধিকা লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখন বিজেপি-র কমিশন।’’
শনিবার ত্রিপুরায় বিক্ষোভ, জমায়েতের কারণে তৃণমূলের ১৪ জন নেতাকে গ্রেফতার করেছিল সে রাজ্যের পুলিশ। তার পর রবিবার সকালে ত্রিপুরা যান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। ওই দিন বিকেলেই জামিন পান ধৃত তৃণমূল নেতারা। সোমবার খোয়াই জেলায় তৃণমূলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে কয়েক জন বাম নেতা-কর্মী বিজেপি-র হামলায় আহত হন বলে অভিযোগ।
এর আগে গত ২ অগস্ট রাজধানী আগরতলা থেকে গোমতী জেলার উদয়পুরের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার পথে মাতাবাড়ি এলাকায় হামলার শিকার হন। তাঁর গাড়িতে বিজেপি-র পতাকাধারী কিছু ব্যক্তি হামলা চালিয়েছিল।
সোমবার দুপুরে অভিষেকের উপর হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। নইলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অত সাহস হতে পারে না।’’ এর পরি বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল-সমীর বলেন। কুণাল বলেন, ‘‘যাঁদের উপর হামলা হচ্ছে, ত্রিপুরা পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা করছে। আমবাসাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার কিন্তু এক পুলিশকর্মীও হয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy