E-Paper

আবার আপত্তিকর পোস্টের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আবহে সংঘাত তীব্র হলে সাধারণ মানুষের সঙ্কটও বাড়ে, এই যুক্তিতে উত্তেজনা কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ঐশী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৫ ০৮:১৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সিপিএমের ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষের পরে এ বার নিশানায় সৃজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ইউটিউবার! ঐশীর পরে সৃজাকে নিয়েও আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েবকুপার সদস্য রাজদীপ মাইতির বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামনে আসার পরে বৃহস্পতিবার সরব হয়েছে নানা পক্ষ।

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের আবহে সংঘাত তীব্র হলে সাধারণ মানুষের সঙ্কটও বাড়ে, এই যুক্তিতে উত্তেজনা কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ঐশী। তার পরে তাঁকে নিশানা করে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল সিটি কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অঙ্কের শিক্ষক রাজদীপের বিরুদ্ধে। এ বার সৃজার একটি ছবি দিয়ে এবং তাঁকে ‘বিশাল মাপের মাকু ইউটিউবার’ হিসেবে উল্লেখ করে বুধবার পোস্ট করেছেন রাজদীপ। জনৈক ‘রাজদীপ মাইতিবাবুর সঙ্গে সৃজা মুখোপাধ্যায়ের চৈনিক মতে বিয়ে’ হতে চলেছে ইত্যাদি বলে বিমান বসু (বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান)-সহ নানা জনকেও কটাক্ষ করেছেন ওই কলেজ শিক্ষক। কটাক্ষের তালিকা থেকে বাদ যাননি বৈশ্বিক বামপন্থী আন্দোলনের বিভিন্ন নেতৃত্ব, চিনের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে কিউবা, উত্তর কোরিয়ার মতো নানা রাষ্ট্রও! এর পরেও শেষে রাজদীপ লিখেছেন, ‘পোস্টের উদ্দেশ্য কাউকে অসম্মান করা নয়’!

ঐশীকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্টের পরে রাজদীপের ফেসবুক প্রোফাইলটি নিষ্ক্রিয় ছিল। ফের সেখান থেকেই সৃজার বিরুদ্ধে পোস্টটি করা হয়েছে। ঐশীকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করায় রাজদীপের বিরুদ্ধে আইনজীবী অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার নগরপাল এবং যুগ্ম নগরপালের (অপরাধ) কাছে চিঠি পাঠিয়ে সাইবার অপরাধের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পুলিশি পদক্ষেপের কোনও ইঙ্গিত অবশ্য মেলেনি। সূত্রের খবর, সৃজাও আইনজীবী অতনুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সঙ্গে অবশ্য যোগাযোগ করা যায়নি।

রাজদীপ যে সংগঠনের সদস্য, সেই ওয়েবকুপা ফের তাঁর সমালোচনা করেছে। সংগঠনের সহ-সভাপতি সেলিম বক্স মণ্ডল বলেছেন, “আবার বলছি এই ধরনের কাজ অত্যন্ত আপত্তিকর। আমাদের সংগঠন এমন কাজ অনুমোদন করে না। ওই শিক্ষকের বিষয়ে সংগঠন আলোচনা করবে।” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষেরও বক্তব্য, “নির্দিষ্ট করে ঘটনাটির কথা জানি না। তবে স্মার্টফোন হাতে নেওয়ার আগে তা ব্যবহারের দায়িত্ব সবারই বুঝে নেওয়া উচিত।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, ‘‘শাসক দলের ছাতায় থেকে বেলাগাম অসভ্যতা চলছে। লজ্জার কথা, ইনি আবার শিক্ষক!’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Social Media India Pakistan Tension

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy