Advertisement
E-Paper

হাওড়া-বর্ধমান শাখায় ট্রেন চলাচল কার্যত স্তব্ধ, পর পর দাঁড়িয়ে ট্রেন, মধ্যরাতে চূড়ান্ত দুর্ভোগে যাত্রীরা

হাওড়া কারশেডে লাইনে কাজ হচ্ছে। আরও কোন কোনও স্টেশনে তা চলছে বলে খবর। কিন্তু রেলের তরফে কোনও স্টেশনে কোনও রকম ঘোষণা শোনা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:৪৮
ট্রেন লাইনে কাজ চলছে।

ট্রেন লাইনে কাজ চলছে। —নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া থেকে মেন লাইনে শেষ বর্ধমান লোকাল ছাড়ার সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে। শনিবার নির্ধারিত সময়ের মিনিট তিনেক পরে সেই ট্রেন ছেড়েছিল। কিন্তু সময়সূচি অনুযায়ী, যখন তার ব্যান্ডেল পৌঁছে যাওয়ার কথা, তখনও সেই ট্রেন হাওড়া স্টেশনের কারশেড টপকাতে পারেনি। যখন ট্রেনটির থাকার কথা শক্তিগড় বা গাঙপুর, তখন সেটি শেওড়াফুলি ঢোকেনি। শনিবার মধ্যরাতে এ ভাবেই দুর্ভোগে পড়তে হল যাত্রীদের।

হাওড়া কারশেডে লাইনে কাজ হচ্ছে। আরও কোন কোনও স্টেশনে তা চলছে বলে খবর। কিন্তু রেলের তরফে কোনও স্টেশনে কোনও রকম ঘোষণা শোনা যায়নি। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনেকের বক্তব্য, এই ধরনের অব্যবস্থা লেগেই রয়েছে। ট্রেন সময়ে চলাটাই এখন বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শনিবার সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে অভিমত যাত্রীদের অনেকের। বৈদ্যবাটির বাসিন্দা অজয় সর্দার বলেন, “সময়ে ট্রেন চলার বিষয়টি এখন উঠে গিয়েছে। আমরাও অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু আজকে সব সহ্যের সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে।” পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা সৈকত মণ্ডল বলেন, “শুনেছিলাম অটোমেটিক ইন্টারলকিং সিস্টেম হলে ট্রেন সময়ে চলবে। কিন্তু ওই প্রযুক্তি বলবৎ হওয়ার পর থেকে দুর্ভোগ বেড়েছে।”

ওই সময়ে হাওড়া থেকে মেন লাইনে পর পর তিনটি ট্রেন ছাড়ে। ১০টা ১০ মিনিটে বর্ধমান, ১০টা ২০ মিনিট এবং ১০টা ৩০ মিনিটে ব্যান্ডেল লোকাল ছাড়ে। শনিবার একই লাইনে পর পর ট্রেনগুলি দাঁড়িয়ে পড়ে। আটকে পড়ে অনেক দূরপাল্লার ট্রেনও। ডাউনেও ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়।

বহু জায়গায় ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে লাইন ধরে হেঁটে কাছের স্টেশনে পৌঁছতে দেখা যায় অনেককে। কোলে বাচ্চা নিয়ে অনেক মহিলাও লাইন ধরে হাঁটতে শুরু করেন। কার্যত দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়তে হয় মানুষকে। যা নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা।

এ ব্যাপারে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Howrah Station
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy