ছবি: পিটিআই।
জেলায় জেলায় পৌঁছে গেল ত্রিপল, শুকনো খাবার ওষুধ। এ ছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও জেলাশাসকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান।
রবিবার দিনভর দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিনি। পরে জাভেদ বলেন, ‘‘প্রতি মুহূর্তের খবর নেওয়া হচ্ছে। আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের কাছে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। ত্রিপল, শুকনো খাবার ও পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় কিট দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই জেলাশাসকদের অর্থও পাঠানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে।’’
দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভল্যান্টিয়ারদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে বেশকিছু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভল্যান্টিয়ার রাখা হয় সবসময়। প্রয়োজন হলেই তাঁদের নামানো হয়। সেই ভল্যান্টিয়ারদেরই এ বারের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামানো হবে। তাঁদের মূলত পাঠানো হয়েছে, গ্রামীণ এলাকাগুলিতেই।’’
বিপর্যয় মোকবিলা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যে আসন্ন বিপর্যয়ের মোকাবিলায় বাহিনীর আরও ৫টি দল কাজ করছে। রাজ্যে বর্তমানে যে ২২টি দল কাজ করছে তার মধ্যে কলকাতায় মোতায়েন ১০টি দল। যাঁরা কলকাতা পুরসভার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করছেন তাঁরা। হাওড়ায় মোতায়েন ১টি দল। বিপর্যয় মোকবিলা দফতর সূত্রের খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অতিরিক্ত বাহিনীও নামানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯টি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৭টি দল মোতায়েন রয়েছে। কন্ট্রোল রুমে থেকে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে । পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো উপকূলবর্তী জেলার প্রশাসনের কর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করে বিপর্যয় মোকাবিলার রূপরেখা প্রস্তুত করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy