—ফাইল চিত্র।
গুলি চলল নবান্নে!
শনিবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট নাগাদ তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে নবান্ন চত্বর। দেখা যায়, নবান্নের ভিতরে উত্তর গেটের নাক বরাবর থাকা পুলিশের বাঙ্কারের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে। কর্তব্যরত সশস্ত্র পুলিশের এক কনস্টেবলের রাইফেল থেকে গুলি বেরোয় বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। কেউ হতাহত হননি। একটি সূত্রের দাবি, ঘটনাটি শিবপুর থানার জেনারেল ডায়েরিতে নথিবদ্ধ হয়েছে। ঘটনাটি বাহিনীর বিভাগীয় অন্তর্তদন্ত (এনকোয়্যারি) শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
ঘটনার পরে নবান্নে আসেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার-সহ পদস্থ কর্তারা। নবান্নের মতো ‘হাই সিকিওরিটি জোন’-এ এমন ঘটনা উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে পুলিশের একাংশ। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ছাড়াও নবান্নে মন্ত্রী-আমলাদের ভিড় থাকে। যাতায়াত করেন অনেক সাধারণ মানুষও। অসাবধানতাবশত গুলি ছিটকে বেরোলেও বিপদ ঘটতে পারে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই পুলিশকর্মীর নাম শশাঙ্কভূষণ মণ্ডল। প্রাক্তন সেনাকর্মী শশাঙ্কবাবু কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের ৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের রয়েছেন। ডিউটি শুরুর সময় ম্যাগাজিন থেকে থ্রি-নট-থ্রি রাইফেলে গুলি ভরছিলেন শশাঙ্কভূষণ। সেই সময় আচমকা গুলি ছিটকে যায়। পুরনো ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেলগুলি ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ম মেনে রাইফেলে গুলি ভরা হচ্ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ সব খতিয়ে দেখা হবে বলে এক পুলিশকর্তার দাবি। ঘটনার পরেই নবান্নের পুলিশ কন্ট্রোলে শশাঙ্ককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশকর্তারা। পরে তাঁকে ব্যাটেলিয়নের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। নবান্নের ভিতরে চারটি বাঙ্কার। প্রতিটি বাঙ্কারে দু’জন করে সশস্ত্র কনস্টেবল আট ঘন্টা করে পাহারা দেন। এই আট জন কনস্টেবলের দায়িত্বে থাকেন একজন এএসআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy