‘আমরা পরীক্ষা দেব না’! মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথায় হতাশ, বৃহস্পতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাক্ষাৎ চান চাকরিহারারা

চাকরিহারাদের আবার পরীক্ষায় বসার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই কথায় হতাশা প্রকাশ করে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাইছেন চাকরিরাহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনসভা রয়েছে। সেখানেই তাঁরা সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন চাকরিহারারা। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গার সঙ্গে দেখাও করেছেন তাঁদের একটি অংশ। পুলি‌শ-প্রশাসনের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা এসপিজি-র অনুমতি মিললেই বৃহস্পতিবার তাঁরা দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন উত্তরবঙ্গে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিক অধিকার মঞ্চের তিন জন প্রতিনিধি।

মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘পরীক্ষা দেব না— এখনই বলা উচিত নয়। তা হলে চাকরিটাই থাকবে না। সরকারের দু’টি পথই কাজে লাগান। রিভিউ করে বিচার না পেলে চাকরি ফিরে পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। পরীক্ষায় বসুন। মর্যাদার সঙ্গে সসম্মানে ফিরে আসুন। সুযোগ আসবে, সদ্ব্যবহার করুন।’’

মমতা এ-ও বলেন, ‘‘রিভিউ পিটিশনের পথও খোলা থাকছে। সেই আবেদনের ফলাফল ইতিবাচক হলে তা-ই মানবে সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি আর একটি রাস্তা। গরমের ছুটির পরে রিভিউ পিটিশন ফের সুপ্রিম কোর্টে উঠবে। আমরা চেষ্টা করব যাতে চাকরিরত শিক্ষকদের আর পরীক্ষায় বসতে না হয়।’’

মুখ্যমন্ত্রী এ ভাবে পরীক্ষায় বসার আবেদন করায় অসন্তুষ্ট চাকরিহারারা। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে যে কথা বলেছিলেন, তার সঙ্গে মঙ্গলবার নবান্নে বলা তাঁর কথায় ফারাক রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অন্যতম মেহেবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘তা হলে কি এখন উনি মনগড়া কথা বলছেন? যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের অন্য দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর আমাদের জন্য রিভিউ-পরীক্ষার কথা বলছেন। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর নামাঙ্কিত হয়ে গেলাম। অর্থাৎ ব্রাত্য হয়ে গেলাম। আমরা এই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। আমরা আলোচনা করেই যা করার করব।’’

গত দিন চারেক ধরে অসুস্থ মেহেবুব। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। বুধবার অবস্থান মঞ্চে এসে তিনি বলেন, ‘‘কয়েক দিন অসুস্থ ছিলাম। আজ এসেছি। নতুন করে পরীক্ষা হলে সেটাতেও অস্বচ্ছতা থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী আসছেন। আমরা সকলের কাছে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীরও হস্তক্ষেপ চাইছি আমরা।’’