Advertisement
E-Paper

ফের বাড়তি ছাত্র, বন্ধ রেজিস্ট্রেশন

সিন্ডিকেটের এ দিনের বৈঠকে বাড়তি ছাত্র ভর্তি নিয়ে আলোচনা হয়। দেখা যায়, ২৪টি কলেজে মোট অতিরিক্ত ৩১৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নিষেধ সত্ত্বেও কেন বাড়তি পড়ুয়া ভর্তি করা হয়েছে, কলেজের কাছে তা জানতে চাওয়া হবে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হবে, নির্ধারিত আসনের থেকে একটিও বেশি আসনের রেজিস্ট্রেশন দেবে না বিশ্ববিদ্যালয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৯

বারবার হুঁশিয়ার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও সমানে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২৪টি কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সোমবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিষেধ সত্ত্বেও কেন এমনটা হল, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজের কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি তলব করা হবে। বাড়তি পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়াও বন্ধ।

সিন্ডিকেটের এ দিনের বৈঠকে বাড়তি ছাত্র ভর্তি নিয়ে আলোচনা হয়। দেখা যায়, ২৪টি কলেজে মোট অতিরিক্ত ৩১৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নিষেধ সত্ত্বেও কেন বাড়তি পড়ুয়া ভর্তি করা হয়েছে, কলেজের কাছে তা জানতে চাওয়া হবে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হবে, নির্ধারিত আসনের থেকে একটিও বেশি আসনের রেজিস্ট্রেশন দেবে না বিশ্ববিদ্যালয়। ‘‘নিষেধ সত্ত্বেও অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করে কলেজগুলি ঠিক করেনি। কড়া পদক্ষেপ নিতেই হতো,’’ বলেন উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ২৪টি কলেজের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতার আনন্দমোহন কলেজ। নির্ধারিত আসনের থেকে ১১০ জনকে বেশি ভর্তি করেছে তারা। বজবজ কলেজে অতিরিক্ত ৪৯, নেতাজিনগর কলেজে ১১, বিদ্যাসাগর কলেজে ১০, বঙ্গবাসী (দিবা) চার জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তালিকায় আছে ভাঙড় মহাবিদ্যালয়, শিবনাথ শাস্ত্রী কলেজ।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেশ কয়েকটি কলেজের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তির অভিযোগ উঠছিল। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি স্বীকার করেছিলেন, অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে ছাত্র সংসদের স্বার্থ কাজ করে। আর্থিক লেনদেনও হয়। বেশ কিছু কলেজে টাকার বিনিময়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

বিরোধীদের অভিযোগ, বাড়তি ছাত্র ভর্তি এবং টাকা লেনদেনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই শাসক শ্রেণির ছাত্র সংগঠন জড়িত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ তদন্ত দল তৈরি করে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া ঘুরে দেখে। রাজ্যের পক্ষ থেকেও সংশ্লিষ্ট কলেজগুলির কাছে ভর্তির পরিপূর্ণ তথ্য চাওয়া হয়। দু’ধরনের পর্যবেক্ষণেই ধরা পড়ে, অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তিতে শীর্ষে থাকা আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ মাইতি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কিছু বলব না। যা করার বিশ্ববিদ্যালয় করবে।’’ ভাঙড় কলেজের অধ্যক্ষ বীরবিক্রম রায়ের দাবি, এ বার একটিও অতিরিক্ত ভর্তি হয়নি। ভুল করে গত শিক্ষাবর্ষের তথ্য পাঠানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতিমধ্যে সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Education Calcutta University Student Registration Partha Chatterjee পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy