ভাঙচুরের পর। নিজস্ব চিত্র।
গ্রুপ ডি পরীক্ষার্থীদের তাণ্ডবে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ঝামেলার সূত্রপাত। বেলা বা়ড়লে তা ক্রমশ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ট্রেনে উঠতে না পেরে অবরোধ করেন পরীক্ষার্থীরা। বহু ক্ষণ চলে ট্রেন অবরোধ। চলে যথেচ্ছ ভাঙচুর। ট্রেন ও স্টেশনে ভাঙচুরের পর লাইনে আগুন জ্বালিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। শেষে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে রেল পুলিশ। চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হন সাধারণ যাত্রীরা।
শনিবার রাজ্যের গ্রুপ ডি পরীক্ষা ছিল। সারা রাজ্যের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ২৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেন। তাঁদের মধ্যে বাইরের রাজ্য থেকে ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এ রাজ্যে আসেন। ওই দিন সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার পরীক্ষার্থী বিহার থেকে নিউ জলপাইগু়ড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছন। সেখান থেকে বিভিন্ন ট্রেনে উঠে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন তাঁরা। পরীক্ষা শেষ হলে তাঁরা পুনরায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছলেও ট্রেন না পেয়ে ওই দিন আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। সন্ধ্যার পর থেকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কোনও প্যাসেঞ্জার ট্রেন থাকে না। আর সংরক্ষিত কামরাগুলিতে তাঁদের উঠতে দেওয়া হয়নি। ফলে শনিবার তাঁরা সারা রাত স্টেশনেই কাটিয়ে দেন।
রবিবার সকাল থেকে ফের তাঁরা সংরক্ষিত কামরায় উঠতে যান। কিন্তু তখনও তাঁদের বাধার মুখে পড়তে হয়। অভিযোগ, এর পরই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। লাইনে নেমে পড়ে ট্রেন অবরোধ করেন। ভাঙচুর চালানো হয় স্টেশন এবং অসম-আওয়াধ এক্সপ্রেসের এসি কামরায়। টায়ার জ্বালিয়ে লাইনে ফেলে দেওয়া হয়। টানা তিন ঘণ্টা ধরে বিহার থেকে আগত পরীক্ষার্থীদের এই তাণ্ডব চলতে থাকে। এর ফলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে কোনও ট্রেন ঢুকতে বা বেরোতে পারেনি। পর পর স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেন। নাকাল হতে হয় যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: কৃষি জমির খাজনা মকুবের পথ খুঁজছে রাজ্য সরকার
রেল সূত্রে খবর, টানা তিন ঘণ্টা এই বিক্ষোভ, অবরোধ চলার পর শেষে আরপিএফ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তাঁদের জন্য নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বারোনি পর্যন্ত একটি বিশেষে ট্রেনেরও ব্যবস্থা করে রেল।
দেখুন ভিডিও:
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy