সীমান্ত সুরক্ষায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-কে জমি দিল রাজ্য। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে বিএসএফকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। নদিয়ার করিমপুরে ০.৯ একর জমি দেওয়া হচ্ছে তাদের। সেই জমিতে নতুন আউটপোস্ট তৈরি হবে বলে সূত্রের খবর।
বিএসএফ রাজ্যকে জানিয়েছিল সীমান্ত সুরক্ষার জন্য তাদের জমি প্রয়োজন। জমি না পেলে কাজে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল তারা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়। তার পরেই নদিয়ার করিমপুরে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও বিএসএফের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
নদিয়া জেলায় প্রায় ২১৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে এখনও প্রায় ২০.৬১১ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি বলে বিএসএফ সূত্রে খবর। কাঁটাতার ছাড়া সীমান্ত রয়েছে করিমপুরেও। সেখানে আউটপোস্ট তৈরি করতে চেয়েছিল বিএসএফ। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, সে কারণেই করিমপুরে আউটপোস্ট করতে চেয়েছিল বিএসএফ। এ বার তার জন্যই জমি দিচ্ছে রাজ্য।
আরও পড়ুন:
-
মোবাইল-সহ ধরা পড়লে দু’বছর বোর্ডের পরীক্ষায় বসা যাবে না! সিবিএসইর নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ
-
ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ যুবক, রাস্তার ধারে বাইকে বসে থাকার সময়ে হামলা, ভর্তি কলকাতার হাসপাতালে
-
স্যালাইন-কাণ্ড: অভিযুক্ত ডাক্তারকে এফআইআরের কপি দেওয়া হয়নি কেন? পুলিশকে প্রশ্ন হাই কোর্টের
-
‘কারও প্ররোচনায় পা নয়’, সীমান্তে শান্তিরক্ষায় বার্তা মমতার, দায়িত্ব নিতে বললেন বিএসএফকেই
ভুয়ো পাসপোর্ট চক্র, তার পরে রাজ্য থেকে একাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গি ও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিল রাজ্য প্রশাসন। তার পরেই পাল্টা বিএসএফের দিকে আঙুল তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানিয়েছিলেন, জঙ্গি অনুপ্রবেশের নেপথ্যে ভূমিকা রয়েছে বিএসএফের। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, বিএসএফই রাজ্যে গুন্ডা, লোক ঢোকাচ্ছে। সরকারি ভাবে তার জবাবও দিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। জানিয়েছিল, অনিয়মের কোনও প্রশ্ন নেই। গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদে সরকারি কর্মসূচিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা সীমান্তে শান্তিরক্ষার ভার নেওয়ার জন্য তিনি বিএসএফকেই এগিয়ে আসতে বলেছিলেন। এ বার তাদের জমিও দেওয়া হল রাজ্যের তরফে।