বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৮ হাজার শূন্যপদের তালিকা চেয়ে পাঠালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।সোমবার তিনি বলেছেন, দু’-তিন দিনের মধ্যে রাজ্যের প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শূন্য পদের তালিকা তাঁর কাছে জমা দিতে হবে। কারণ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে তাঁর কাছে খবর এসেছে, আদালতের জন্যই না কি ওই শূন্যপদে চাকরি প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার এই মর্মে শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে ওই শূন্যপদের তালিকা তাঁকে দিতে হবে। ওই শূন্যপদে যদি গ্রন্থাগারিক নিয়োগের পদও থাকে, তবে তা-ও দেখাতে হবে। বিচারপতি বলেছেন, ‘‘আমি জানতে চাই বেকারদের জন্য কত পদ খালি রয়েছে।’’
উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই ২৮ জুন আসানসোলের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘১৭ হাজার শিক্ষকদের চাকরি তৈরি আছে। আদালত অনুমতি না দিলে, আমি দিতে পারি না।’’ পরে ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের শহীদ দিবসের মঞ্চেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “১৭ হাজার শিক্ষককের চাকরি তৈরি আছে। ভর্তি করতে ডিপার্টমেন্ট রেডি। কোর্ট কেস চলছে বলে হচ্ছে না।” সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের বিতর্কসভাতেও তৃণমূলের এক নেতা এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের বলেছিলেন, এই সংক্রান্ত মামলাটি বিচারাধীন থাকায় চাকরি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জবাবে ওই চাকরিপ্রার্থী পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘এমন কোনও স্থগিতাদেশ নেই।’’ কিন্তু তৃণমূল নেতা সেই দাবি মানতে চাননি। অনুমান, এই ঘটনা ক্রমের সূত্র ধরেই সম্ভবত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ। কেন না অভিজিৎ এই নির্দেশ দেওয়ার সময় বলেন, ‘‘রাজনীতির আঙিনায় বিচার ব্যবস্থাকে টেনে আনা উচিত নয়।’’
তবে অভিজিৎ ওই নির্দেশ দিলেও তিনি শুধুমাত্র প্রাথমিক এবং মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়েই পদক্ষেপ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। তবে চাকরি পাওয়া নিয়ে পদক্ষেপ না করলেও বিচারপতির এই নির্দেশে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসু শূন্যপদের ঘোষণা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy