—ফাইল চিত্র।
সাত বছর আগে, এক শনিবার, ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই ছক্কা হাঁকিয়ে খাতা খুলেছিল শীত। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নীচে! রবিবার ডিসেম্বরের প্রথম দিনে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। গভীর রাতে হিমেল ভাবটুকু ছাড়া শীতের হাতে আপাতত শুধুই পেন্সিল!
মৌসম ভবনও জানিয়েছে, এ বার শীতের ভাগ্য তেমন প্রসন্ন হবে না। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ বাদে দেশের বেশির ভাগ এলাকাতেই শীত কার্যত ঠুকঠুক করে ব্যাটিং করবে। শীতের দাপট মেলার আশা খুবই কম। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় জলের তাপমাত্রা বেশি থাকাতেই শীতের এই বেহাল দশা হবে বলে জানাচ্ছেন আবহবিজ্ঞানীরা। কারণ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় জলের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তা বঙ্গোপসাগরেও তা প্রভাব ফেলে এবং সাগরের তাপমাত্রা বেশি হলে তা বায়ুপ্রবাহকে প্রভাবিত করে।
হাওয়া অফিসের খবর, রবিবার কলকাতার উপকণ্ঠে দমদমে রাতের পারদ ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পশ্চিমের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা মহানগরের থেকে কিছুটা কম। কিন্তু এ সময় পারদ আরও নীচে থাকতে দেখা যায়। বাঁকুড়া, আসানসোল, পুরুলিয়াতেও এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে ছিল বলে আবহবিজ্ঞানীরা জানান।
আরও পড়ুন: জল তোলায় রাজ্যের কড়া পদক্ষেপ চান বিশেষজ্ঞেরা
আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তর ও পূর্ব ভারতের সমতলে শীত নির্ভর করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার উপরে। ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী বায়ু বা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান হয়ে কাশ্মীরে ঢোকে এবং তুষারপাত ঘটায়। সেই ঠান্ডা হাওয়াই ক্রমশ পূর্ব ভারতের দিকে বয়ে আসে। বর্তমানে কাশ্মীরে ঝঞ্ঝা না-থাকায় উত্তুরে হাওয়ার কনকনে ভাব নেই। তার ফলেই তাপমাত্রা তেমন নামছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy