দীপক রায় ও সুব্রত রায়ের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজস্ব চিত্র
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন দীপক রায়। তিনি রাজ্য বিজেপি-র তফসিলি মোর্চার সহ-সভাপতি ছিলেন। রবিবার তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। দীপকের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন সুব্রত রায় নামে আরও এক বিজেপি নেতা।
দীর্ঘদিন তফসিলি মোর্চার ওই পদে থাকলেও দলের কাজে তাঁকে সে ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা প্রসঙ্গে দীপক বলেন, ‘‘বিজেপি দূষিত লোকে ভরে গিয়েছে। দূষিত লোকদের তৃণমূল সহ্য হচ্ছে না। কারণ তৃণমূল হচ্ছে মুক্ত হাওয়া। সেই মুক্ত হাওয়ায় দম নিতেই তৃণমূলে এসেছি।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাংলার গর্ব নয়, তিনি বাঙালির গর্ব। একজন বাঙালি হিসেবে তাঁর হাত শক্ত করতে এসেছি।
রবিবার দীপকের পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি নেতা সুব্রত রায়। বিজেপি-র তফসিলি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির দুই সদস্য দীপক ও সুব্রত শিবির বদল করায় খুশি তৃণমূল। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, গত লোকসভা ভোটে তফসিলি ও আদিবাসী ভোটের বেশির ভাগটাই পেয়েছিল বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সেই ভোট ফিরিয়ে আনার উপর জোর দিচ্ছেন মমতা। আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্পও নিয়ে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী। এই আবহে তফসিলি নেতাদের বিজেপি ত্যাগ বাড়তি সুবিধা দেবে তৃণমূলকে। এমনকি এর ফলে আদিবাসী সমাজে তৃণমূলের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে।
অন্য দিকে, রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ফলে আদিবাসীদের আবেদনের ভিত্তিতে শংসাপত্রের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানান পার্থ। বলেন, ‘‘জাতিভিত্তিক শংসাপত্রের জন্য ২৪ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। আমাদের সরকার একশো শতাংশ কাজ করে দিয়েছে। কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবে কাজে করে দেখায়। কোনও রামকার্ড নয়, আমাদের এখানে জনতা কার্ড, মমতা কার্ড চলে। আর তাতেই আমরা পুনরায় জয়ী হব।’’ পাশপাশি তৃণমূল ছা়ড়া প্রসঙ্গে দীনেশ ত্রিবেদীকে কটাক্ষ করে পার্থ বলেন, ‘‘এতদিন দমবন্ধ হয়ে থাকলেন কী করে। এ রকম কোনও সাঁতারুও পারে না। দম ছিল, দম নিয়েই দলকে ক্ষয় করার চেষ্টা করছিল। আবার দম ফুরলে বুঝবেন, ফ্রেশ দমটা কোথায় নেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy