Advertisement
E-Paper

প্রাথমিকের নিয়োগ-প্যানেল প্রকাশ নিয়ে বিচারপতি সিংহের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে গেল পর্ষদ

গত ১২ ডিসেম্বর জেলা ভিত্তিক নিয়োগের প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিংহ। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৫
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ।

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। —ফাইল চিত্র ।

৪২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল প্রকাশ মামলায় নয়া মোড়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল আদালতে জমা দেওয়া নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত ১২ ডিসেম্বর জেলা ভিত্তিক নিয়োগের প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিংহ। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

২০১৪ সালের টেটের পর দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল। একটি ২০১৬ সালে এবং অন্যটি ২০২০ সালে। বিচারপতি সিংহ আগে ওই দুই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন পর্ষদকে। গত ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পর্ষদ আদালতে হলফনামা দেয়। পর্ষদ জানায়, এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগের রীতি মেনে প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল দেখতে চেয়েছিল আদালত। বিচারপতি সিংহ জানান, নিয়োগের প্যানেল খতিয়ে দেখার অধিকার রয়েছে আদালতের। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন প্যানেল প্রকাশ না করে কি পর্ষদ কাউকে আড়াল করতে চাইছে?

এই মামলার আগের শুনানিতে বিচারপতি সিংহ বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, এমন ৯৪ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন। পর্ষদের আইনজীবী ৩০ নভেম্বরের শুনানিতে জানিয়েছিলেন, ওই ৯৪ জনকে শূন্যপদের বাইরে থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি, যে দু’টি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্যানেলের জন্য আরও সময় দেওয়া হোক। শুনে বিচারপতি সিংহ বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘আর কত দিন বঞ্চিতেরা অপেক্ষায় থাকবেন! তাঁদের কাছে প্রতিটা দিনের মূল্য রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।’’ তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘‘দেড় মাস সময় দেওয়া হল। তার পরেও হলফনামা দিতে পারলেন না? আইনজীবীদের উপর চাপ বাড়লে পর্ষদ নতুন আইনজীবী নিয়োগ করুক।’’ এর পরে আদালত পর্ষদকে আরও সাত দিন সময় দেন। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামায় দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল আদালতে জমা দিতে হবে। সেই মামলার শুনানি ছিল ১২ ডিসেম্বর। যেখানে পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশ করতে না চাওয়ার জন্য ধমক দেন বিচারপতি।

বিচারপতি সিংহের মন্তব্য ছিল, ‘‘আমি প্রাথমিকের প্যানেল দেখতে চাই। মেয়াদ শেষের আগে একটা প্যানেল প্রস্তুত হয়। সেটি দেখতে চাই। নিয়োগের প্যানেল খতিয়ে দেখার অধিকার আদালতের অধিকার রয়েছে।’’ জবাবে পর্ষদ জানিয়েছিল, বিধি মেনে জনসমক্ষে প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই। এতে বিচারপতি সিংহ বলেন, ‘‘নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ না করে কাউকে আড়াল করতে চাইছেন? এই প্যানেল বাড়িতে গচ্ছিত রাখার সম্পত্তি নয়। প্যানেল প্রকাশ হলে অসুবিধা কোথায়?’’ তিনি এ-ও জানান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এক বার যা প্রকাশ করা হয়েছে, তা দ্বিতীয় বার প্রকাশে কেন অসুবিধা। বিচারপতি সিংহের সেই প্যানেল প্রকাশের নির্দেশকেই এ বার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক পর্ষদ। এই মামলায় মূল মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।

Justice Amrita Sinha Bengal Teacher Recruitment Case Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy