এক দিকে কৃষকদের থেকে সরাসরি উৎপাদিত পণ্য কিনে নেওয়া, অন্য দিকে কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ— এই দুই লক্ষ্যে পদক্ষেপের বার্তা দিল রাজ্য। বুধবার বিধানসভায় পেশ হওয়া বাজেটে এই দুই ক্ষেত্র মিলিয়ে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রশাসনিক শিবিরের অনুমান, এতে এক দিকে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দর পেতে যেমন সমস্যা হবে না কৃষকদের, তেমনই মূল্যবৃদ্ধির আঁচ থেকে সাধারণ ক্রেতাদের কিছুটা হলেও বাঁচানো সম্ভব।
বাজেটে বলা হয়েছে, উৎপাদিত কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, প্যাকেট এবং গুদামজাত করতে আর্থিক সহায়তাভিত্তিক প্রকল্প চালু হচ্ছে। যাতে প্রকল্প খরচের ৫০% বা সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ এবং তা রাখার উপযুক্ত মজুতকেন্দ্র তৈরি, মশলা ইউনিট, টমেটো প্রক্রিয়াকরণ-সহ একাধিক পরিকাঠামো তৈরিতে কৃষি উদ্যোগপতি, কৃষক, প্রাইমারি এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি বা প্যাক্স, ফার্মার প্রোডিউসার অর্গানাইজ়েশন বা এফপিও-রা উৎসাহিত এবং উপকৃত হবেন। পাশাপাশি, উৎপাদিত প্রক্রিয়াজাত পণ্য রফতানির সুযোগও তৈরি হবে। সমান্তরালে এই ব্যবস্থা গ্রামীণ স্তরে কর্মসংস্থান তৈরিতেও সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য চন্দ্রিমা ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বাজেটে ঘোষণা করেছেন।
কৃষকদের থেকে সরাসরি আনাজ কেনার পদ্ধতি ইতিমধ্যেই চালু করেছে রাজ্য। কোনও আনাজের বিপুল উৎপাদন হলেও, দর তলানিতে পৌঁছে যাতে কৃষকের আর্থিক ক্ষতি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা। এই লক্ষ্যে ‘রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি’র নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলিতে নতুন দুশোটি সংগ্রহ কেন্দ্র চালুর ঘোষণা করেছে সরকার। তাতে বরাদ্দ হয়েছে আরও ২০০ কোটি টাকা। সমান্তরালে সুফল বাংলা বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা আরও সাড়ে তিনশোটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন ৬৪৬টি এমন কেন্দ্র সচল রয়েছে গোটা রাজ্যে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)