প্রতীকী ছবি।
পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্য পড়ার দক্ষতা বেড়েছে। এবং তা জাতীয় গড়ের থেকে অনেকটা বেশি। পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের ভাগ করার কুশলতাও জাতীয় গড়ের থেকে বেশি। বেড়েছে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্য পড়ার দক্ষতাও।
বাংলার গ্রামাঞ্চলের এই উজ্জ্বল শিক্ষাচিত্র দেখাচ্ছে ‘অ্যানুয়াল স্টেটাস অব এডুকেশন রিপোর্ট (আসের) ২০১৮’। এবং সম্প্রতি প্রকাশিত এই রিপোর্টে বঙ্গের গ্রামীণ পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের কুশলতা নিয়ে যে-তথ্য উঠে এসেছে, তাতে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর অত্যন্ত খুশি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা যে বেড়েছে, তার কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল সরকারের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন, পরিবর্ধনের উদ্যোগকেই। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ‘আমার বই’ চালু হয় ২০১৩ সালে। বইটিতে প্রথম ভাষা বাংলা, দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি এবং গণিত রয়েছে সমন্বিত আকারে। রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার জানালেন, যারা প্রথম থেকে ‘আমার বই’ পড়তে পেরেছে, দেখা যাচ্ছে, তারা এই সমীক্ষায় ভাল করেছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে ভাগ করার কুশলতা কমেছে। দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্য পড়তে পারে, অষ্টম শ্রেণির এমন পড়ুয়ার সংখ্যাও কমেছে। অভীকবাবুর যুক্তি, এখন যারা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে, তারা ‘আমার বই’ পায়নি।
‘প্রথম’ নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে দেশের গ্রামীণ স্কুলের অবস্থা এবং তিন থেকে ষোলো বছরের পড়ুয়াদের পারদর্শিতার নমুনা সমীক্ষা করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এ রাজ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১১ হাজার ৯৭২ জন পড়ুয়ার উপরে। এই সমীক্ষা হয়েছে রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের ৪৪১টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে। তার মধ্যে ৪৩৭টি প্রাথমিক স্কুল এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল চারটি।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির প্রবণতা কমছে। ‘‘এই প্রবণতা খুবই আশাব্যঞ্জক। অভিভাবকেরা সন্তানদের বেসরকারি স্কুলেই পাঠাতে চান বলে যখন তুমুল প্রচার চলছে, তখন এই তথ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে, এ রাজ্যে তার সবটুকু সত্যি নয়,’’ বলেন অভীকবাবু। তাঁর দাবি, পাঠ্যক্রম পরিবর্তন ও পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্যই গ্রামীণ পড়ুয়ারা সরকারি স্কুলে যেতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy