এই প্রথম রাজ্য সরকারি উদ্যোগে সাঁওতালি ভাষায় অভিধান প্রকাশিত হবে। রবিবার ঝাড়গ্রাম একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানালেন রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সঞ্জয় থাড়ে। ঝাড়গ্রাম-সহ রাজের সাতটি একলব্য স্কুলের পাঁচদিনের ‘স্পেশ্যাল এক্সপোজার ক্যাম্প’-এর রবিবার ছিল শেষদিন। দশম শ্রেণির ৩৪৫ জন ছাত্রছাত্রী শিবিরে যোগ দেয়।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ছিলেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসারানন্দ, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন প্রমুখ। সঞ্জয় থাড়ে জানান, ২৫ হাজার শব্দের একটি সাঁওতালি অভিধান তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। রাজ্যের সাতটি একলব্য স্কুলকে ওই অভিধান দেওয়া হবে। অভিধানে বিভিন্ন সাঁওতালি শব্দের বাংলা ও ইংরেজি প্রতিশব্দ এবং উচ্চারণবিধি থাকবে। তিনি বলেন, “ঝাড়গ্রাম একলব্য স্কুলের দায়িত্ব রামকৃষ্ণ মিশনকে দেওয়া হয়েছিল পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে। এই উদ্যোগ সফল হয়েছে।” বাকি একলব্য স্কুলগুলিতেও উন্নত মানের পরীক্ষাগার তৈরির বিষয়ে সরকার উদ্যোগী হচ্ছে।
এ দিন উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি বিভাগে রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রাম একলব্যের পড়ুয়া উদয় মুর্মু এবং সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক মজিবর সরেনকে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়। উদয় ও মজিবরের বাবা-মাকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সঞ্জয়বাবু ঘোষণা করেন, আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রতিটি একলব্যের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকদের ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হবে। উদয়ের ফলে মুখ্যমন্ত্রী খুব খুশি হয়েছেন বলে জানান সঞ্জয়বাবু। ঝাড়গ্রাম একলব্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী স্বামী শুভকরানন্দ পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের মধ্যে অনন্ত শক্তি রয়েছে। সরকার সব রকম সহযোগিতা করছে। নিজেদের চেষ্টায় ও যোগ্যতায় তোমারা ভবিষ্যত জীবনে সফল ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেখিয়ে দাও।”