ভারতী ঘোষ। ফাইল চিত্র।
জল্পনার অবসান। শেষ পর্যন্ত পুলিশের চাকরি থেকে ইস্তফাই দিলেন ভারতী ঘোষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আইপিএস অফিসার ভারতীর ইস্তফাপত্র গৃহীত হবে।
আইপিএস হলেও তিনি রাজ্য সরকারের ক্যাডার। এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ সার্ভিস থেকে প্রোমোশন পেয়েই তিনি আইপিএস অফিসার হয়েছিলেন। কাজেই তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের স্বীকৃতিই শেষ কথা, এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের এক প্রাক্তন কর্তা।
গত সোমবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের পদ থেকে ব্যারাকপুরে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের তৃতীয় ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডিং অফিসারের পদে বদলি করা হয়েছিল ভারতী ঘোষকে। কিন্তু সেই পদে যোগ দেওয়ার আগেই তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন ডিজি সুরজিত্ কর পুরকায়স্থকে। যদিও এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফে বিকেল পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: চাকরি থেকেই ইস্তফা দিলেন ভারতী ঘোষ
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক কি তলানিতে? ভারতীর বদলিতে জোর গুঞ্জন
তবে রাজ্য রাজনীতিতে ভারতীর বদলি এবং ইস্তফা নিয়ে বিস্তর চর্চা এখনও চলছে। সেই জল্পনায় ভেসে উঠছে ভারতীর সঙ্গে মমতার মান-অভিমানের কথাও। একটা অংশের মতে, বদলির নির্দেশ যে ভারতীর মনমতো হয়নি এবং এতে যে তাঁর অভিমান-ই হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে তা বোঝাতেই তিনি ইস্তফা দেন। ভেবেছিলেন, ইস্তফার বার্তা পেয়ে তাঁর মান ভাঙানো হবে। কিন্তু সে পথে না হেঁটে তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণের রাস্তাতেই গেল রাজ্য। যদিও অন্য একটা অংশের মত, অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে ঠেলে দেওয়াতেই অসন্তুষ্ট হয়ে চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন ‘প্রভাবশালী ভারতী’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy