বিপদ যে পিছু ছাড়েনিতার প্রমাণ মিলছে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যাতে। ফাইল চিত্র।
অতিমারির তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এখনও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। তাই করোনা আক্রান্ত সঙ্কটজনক রোগীদের চিকিৎসায় বয়স্কদের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং শিশুদের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রশাসনের খবর, বাবল সিপ্যাপ, বাইপ্যাপ, হিউমিডিফায়ার, ব্লাড গ্যাস অ্যানালাইজ়ার-সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
রাজ্য যেখানে তৃতীয় তরঙ্গের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিতে নারাজ, সেখানে এক শ্রেণির মানুষ কী ভাবে করোনা বিধিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, মানুষের উচিত নিজেদের সচেতনতার পরিচয় দিয়ে তৃতীয় ঢেউকে আটকানো। কিন্তু এক শ্রেণির গা ছাড়া মনোভাব সেই বিপদকেই আহ্বান জানাচ্ছেন।
বিপদ যে পিছু ছাড়েনিতার প্রমাণ মিলছে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যাতে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৪ জন। সব থেকে বেশি আক্রান্ত কলকাতায় (২৩৬)। এরপরেই উত্তর ২৪ পরগনা ১৫৯, হুগলি ৮৬, হাওড়া ৬১, নদিয়া ৪৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দার্জিলিংয়ে ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। সেই তালিকায় প্রথমে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ওই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই যত রকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা সম্ভব তা করা হচ্ছে। হাসপাতালের শয্যা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে নতুন যন্ত্রপাতি কেনার মতো সবই করা হচ্ছে। যদিও কেউই চাই না আবার বড় বিপদ আসুক। কিন্তু এক শ্রেণির বেপরোয়া মনোভাব সব হিসেব উল্টে দেওয়ার সম্ভবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy