বিএসকে-এর ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের পুজোর বোনাস দেবে রাজ্য সরকার।
বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই বিভিন্ন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (বিএসকে)-এর ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের পুজোর বোনাস বাবদ তিন কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার।
কেন্দ্রের তথ্যমিত্র কেন্দ্রের পরিবর্তে বিএসকে পরিচালনার উপরে জোর দিয়েছে নবান্ন। বেশ কয়েক হাজার বিএসকে স্থাপন করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সেখানকার কর্মীদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে রাজ্যের কর্মিবর্গ এবং প্রশাসনিক সংস্কার দফতর। এ বার বিএসকে-কর্মীদের জন্য বোনাস বরাদ্দ করার পরে বকেয়া ডিএ নিয়ে ফের সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএসকে-কর্মীদের বোনাস খাতে প্রায় তিন কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে সব জেলাশাসক এবং পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে।
রাজ্য জুড়ে এখন ৩৫৬১টি বিএসকে চালু আছে। সেখানে কর্মরত ৭০৫৬ জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে মাথাপিছু ৪৮০০ টাকা বোনাস (২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য) দেওয়া হবে সেই অর্থে। বিষয়টিকে স্বাগত জানালেও স্থায়ী পদে নিয়োগ এবং বকেয়া ডিএ নিয়ে সরব হয়েছেন ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তীর। তাঁর বক্তব্য, স্থায়ী পদে নিয়োগ কার্যত হচ্ছে না। বেতনের পরিমাণও বাজারদরের তুলনায় অনেক কম। তা ছাড়া ডিএ মেটানোর ব্যাপারেও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত চোখে পড়ছে না।
তাঁর বক্তব্য, স্থায়ী নিযুক্তির বদলে অস্থায়ী পদে নিয়োগ সর্বত্রই কার্যত রীতিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। স্থায়ী পদে নিয়োগ নিয়ে ভাবা প্রয়োজন সরকারের। তা ছাড়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র প্রশ্নে গোটা দেশের মধ্যে পিছিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আদালতও ডিএ মেটানোর কথা বলছে। প্রত্যেক কর্মীর বহু টাকা লোকসান হচ্ছে। ন্যায্য হারে ডিএ পেলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও উপকৃত হন। কারণ, সুদের হার কমে যাওয়ায় তাঁরা তুলনায় অনেক বেশি দুরবস্থার মুখে পড়েছেন। ‘‘এই অবস্থায় আদালতের ডিএ সংক্রান্ত রায় রূপায়ণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি,” বলেন মনোজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy