আর কয়েক ঘণ্টা পরই কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউনের বিধি-নিষেধ জারি হবে। তার আগে কলকাতা এবং জেলায় শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। বেশ কিছু রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশও। যদিও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় মানুষের মধ্যে অসচেতনতার সেই চেনা ছবিও ধরা পড়েছে। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। বাজার এলাকায় দূরত্ব বিধি শিকেয়।
জেলার মধ্যে কলকাতার অবস্থা সব থেকে বেশি উদ্বেগজনক। বুধবার রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৬ জন। তার মধ্যে শুধু কলকাতায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬৬ জন। এখনও পর্যন্ত কলকাতায় মোট আক্রান্তের সমখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে শহরের ২৫টি কন্টেনমেন্ট জোনে ফিরছে নতুন করে লকডাউন।
কলকাতার বিভিন্ন এলাকার কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশের। শীর্ষ আধিকারিকেরা থানাগুলির সঙ্গে কথা বলে এলাকা পরিদর্শন করছেন। লকডাউনের সময় কী ভাবে নজরদারি চালাতে হবে, সে বিষয়েও নির্দেশ দিচ্ছেন। কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে বাজার-দোকান, অফিস, সমাবেশ কিছুই করা যাবে না বলে রাজ্যের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ১৫ হাজার, নমুনা পরীক্ষা ১০ হাজারের কম
তাতে শুধু মাত্র ছাড় ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং জরুরি পরিষেবা। কিন্তু কলকাতার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কন্টেনমেন্ট জোনে যে বাড়ি অথবা ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই প্রেমিসেসে কড়া লকডাউনের বিধি চালু থাকবে। ওই ঠিকানার বাসিন্দারা বাইরে বার হতে পারবেন না। কিন্তু বাকিরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজ করতে পারবেন। ফলে কলকাতার কন্টেনমেন্ট জোনে বিকেল ৫টার পর কী পরিস্থিতি হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের তরফে ওই এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কোনও কিছুর অসুবিধা হলে, সাহায্যের বার্তাও দিচ্ছেন স্থানীয় থানার কর্মীরা।