জঙ্গলপথে: বিশ্বরূপ মণ্ডলের ক্যামেরায় ধরা পড়া সেই ছবি।
বাঘের নাগাল না পেয়ে ঘুম ছুটেছে বন কর্তাদের। এ বার নাকি নেকড়ের আর্বিভাব! তা-ও ঝাড়গ্রাম শহরের শেষ সীমানা থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে।
লালগড়ের মেলখেরিয়ার জঙ্গলে বন দফতরের ফাঁদ-ক্যামেরায় বাঘের ছবি ওঠায় আলোড়ন পড়েছে। তারপর আতিপাতি করে খুঁজেও সেই বাঘের নাগাল মেলেনি। এ বার ঝাড়গ্রাম শহরের এক শিক্ষকের দাবি, তাঁর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে পূর্ণবয়স্ক এক নেকড়ের ছবি। বন দফতরের বক্তব্য, আগে থেকেই ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে ভাল সংখ্যক নেকড়ে রয়েছে। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
বছর পঁয়ত্রিশের বিশ্বরূপ মণ্ডলের নেশা বন্যপ্রাণের ছবি তোলা। জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় হাইস্কুলের ইংরেজির এই শিক্ষকের সঙ্গে সব সময় ক্যামেরা থাকে। তাঁর দাবি, বুধবার বিকেলে পাখির ছবি তুলতে ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে পেপার মিল থেকে বৃন্দাবনপুর যাওয়ার রাস্তা ধরে মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বন্ধু শুভেন্দু মাহাতো। হঠাৎই নাকি পিচ রাস্তার ধারে বৃন্দাবনপুরের চুয়া জঙ্গল লাগোয়া খালের পাড়ে একটা নেকড়ে দেখতে পান। বিশ্বরূপের দাবি, “রাস্তা থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে খালপাড়ে নেকড়েটা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। খানিক পরেই জঙ্গলে ঢুকে যায়।”
বিশ্বরূপ যেখানে নেকড়ে দেখার দাবি করেছেন, সেই চুয়া জঙ্গল এলাকাটি শহরের পেপার মিল মোড় থেকে মাত্র দেড়-দু’কিলোমিটার দূরে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হোলেইচ্চি অবশ্য বলেন, “এখানকার জঙ্গলে ভারতীয় নেকড়ে আছে।’’ বাসবরাজ জানান, নেকড়েরা মূলত জঙ্গলের ছোটখাটো প্রাণী শিকার করে। অনেক সময় শিকারের পিছু ধাওয়া করে জঙ্গলের বাইরে চলে আসে। লোকালয়ের জঙ্গল-রাস্তায় কখনওসখনও ওদের দেখা যায়। এই বনকর্তার কথায়, ‘‘ভয়ের কিছু নেই। বিরক্ত না করলে ওরা ক্ষতি করে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy