প্রথম দিনই সফল ভাবে ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) ব্যবহার হল বাগডোগরা বিমানবন্দরে। দীর্ঘ দুই দশকের প্রতীক্ষার পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিমানবন্দরে ওই পরিষেবা চালু হয়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সকালে ১১টায় কলকাতা থেকে বাগডোগরা আসা দিনের প্রথম বিমানটিকে দিয়েই পরিষেবা চালু হয়ে যায়। সকালে বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা ২০০০ মিটারের বেশিই ছিল। দুপুর ৩টের পর থেকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়। কোচবিহারে ঝড়-বৃষ্টিও হয়। তাতে দার্জিলিং জেলার সমতলে আবহাওয়ার দ্রুত অবনতি হয়। ঠান্ডা হাওয়ায় সঙ্গে অনেকটাই অন্ধকার ছেয়ে আসে আকাশে।
বিমানবন্দরে অফিসাররা জানান, আবহাওয়া খারাপ হলে সাধারণত দৃশ্যমানতা কমে যায়। কিছু ক্ষণ পর পরই তা হচ্ছে দেখে আইএলএস ব্যবস্থা চালু করে দেওয়া হয়। শিলিগুড়ি শহরের আবহাওয়া খারাপ থাকলেও বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ঠিকই ছিল। সেই সঙ্গে আইএলএস পরিষেবা থাকায় বিমান ওঠানামায় কোনও ধরনের সমস্যা হয়নি। সন্ধে সাড়ে ৬টা অবধি স্বাভাবিক ভাবেই বিমান নেমেছে উঠেছে। বিমানবন্দর অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘আইএলএস পুরোপুরি চালু হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি বিমান বাগডোগরায় আইএলএসের মাধ্যমেই ওঠানামা করেছে।’’
এ দিন বাগডোগরা থেকে ২৪টি বিমান কলকাতা, দিল্লি, গুয়াহাটি, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু যাতায়াত করেছে। ২৫ মার্চ থেকে বিমানবন্দরে গ্রীষ্মকালীন সফরসূচি চালু হয়েছে। কিন্তু আইএলএস চালু হলেও এখনও ভোরে বা রাতে কোনও বিমান সংস্থার তরফে বিমান ওঠা-নামার ব্যাপারে লিখিত আবেদন করা হয়নি। দু’টি বিমান সংস্থা অবশ্য সকাল ৯টা নাগাদ কলকাতা থেকে বিমান চালানর জন্য খোঁজখবর শুরু করেছে। যাত্রী সংখ্যা দেখার পাশাপাশি সংস্থাটি নিজেদের তরফেও সমীক্ষা করছে। বিমানবন্দর অধিকর্তা জানান, দু’টি সংস্থার তরফে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। দেখা যাক, কবে তাঁরা লিখিত ভাবে আবেদন করেন।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আইএলএস বসানর কাজ শেষ হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক থেকে আইএলএস চালু দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেয়। চলতি মাসেই বাগডোগরায় যাত্রী সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়াতে চলছে। বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানান, পাঁচটি শহরের সঙ্গে বাগডোগরা এখন সরাসরি যুক্ত হয়েছে। আইএলএস থাকায় আগামী বর্ষা বা শীতে নিশ্চয়ই সকাল বা রাতের বিমান বাগডোগরায় আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy