ফাইল চিত্র।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে ফের বঙ্গে কুপোকাত শীত। শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আকাশ ছিল মেঘলা। কোথাও কোথাও বৃষ্টিও হয়েছে। তবে মঙ্গল-বুধবার থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে শীত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, আগামী দিন দু’দিন এমনই মেঘ, বৃষ্টির পরিস্থিতি চলবে। বঙ্গোসাগরের একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হচ্ছে। তার ফলে গাঙ্গেয় বঙ্গে জলীয় বাষ্প ঢুকবে।
ঘুরে দাঁড়ালেও বঙ্গভূমে শীত আর কত দিন থাকবে, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। জানুয়ারির শেষ লগ্নে এক দফা শীতের পরই উত্তুরে হাওয়া পশ্চিমবঙ্গ-তথা পূর্ব ভারত থেকে পাততাড়ি গোটাতে পারে বলেও মনে করছেন হাওয়া অফিসের আবহবিদদের অনেকে। তাই শেষ লগ্নে শীতের কামড় কতটা জোরালো হতে পারে তা নিয়েও চর্চা চলছে নানা মহলে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আদতে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা, ভারী বায়ু। কাশ্মীর হয়ে যা ভারতে ঢোকে এবং তার প্রভাবেই উত্তর ভারতের পাহাড়ে তুষারপাত হয়। উত্তর-পশ্চিমের সমতলে বৃষ্টিও হয়। ঝঞ্ঝার প্রভাব কাটলেই কনকনে উত্তুরে বাতাস পূর্ব ভারতে শীতের দাপট বাড়ায়। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা যে এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যায়, সেখানে শীত সাময়িক ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে। এ বার বঙ্গে সেই ঘটনা একধিকবার ঘটেছে। ঝঞ্ঝার আগমনে বৃষ্টি হয়েছে, রাতের তাপমাত্রাও বেড়েছে।
খাস মহানগর বা লাগোয়া জেলা তো বটেই, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও শীতের দাপট কমে গিয়েছে। শ্রীনিকেতন, পানাগড় বা আসানসোলের রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলেছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার আকাশ মেঘলা থাকবে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৯, স্বাভাবিকের থেকে যা ১ ডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৬.৮, স্বাভাবিকের থেকে যা তিন ডিগ্রি বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy