গলদ: বিদ্যুৎ-আখরে লেখা নামেই অন্ধকার। সল্টলেকের খাস বিদ্যুৎ ভবনে। ছবি: শৌভিক দে।
রাজ্যে লো-ভোল্টেজের সমস্যা মেটাতে ৭০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। কিন্তু যাঁরা ওই সব প্রকল্প রূপায়ণ করবেন, সেই তিন ডিরেক্টরের পদই কয়েক মাস ধরে ফাঁকা। ফলে ঠিক সময়ে অনেক সিদ্ধান্তই নেওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বুঝে অবশেষে ওই তিনটি পদে দ্রুত ডিরেক্টর নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় ডিরেক্টর প্রজেক্ট (প্রকল্প), ডিরেক্টর ডিস্ট্রিবিউশন (বণ্টন) ও ডিরেক্টর জেনারেশন (উৎপাদন)— এই তিনটি পদ বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের বিদ্যুৎকর্তারাই জানাচ্ছেন, একসঙ্গে তিন ডিরেক্টরের পদ ফাঁকা পড়ে থাকাটা বণ্টন সংস্থার ইতিহাসে এই প্রথম। ফলে কাজের ক্ষেত্রে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কোনও প্রকল্পের কাজ কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তার রূপরেখা তৈরির পরেও তা রূপায়ণ করা যাচ্ছে না।
এমনটা ঘটতে পারে বুঝেও কয়েক মাস ধরে ওই তিন পদে কেন নিয়োগ হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। অভিযোগ উঠেছে, ওই পদগুলিতে কেউ কেউ ‘কাছের লোক’ বসানোর জন্য রাজনীতি করাতেই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিদ্যুৎমন্ত্রীর দাবি, ওই তিন পদে যাঁরা আবেদন করেছেন, এ মাসের মধ্যেই তাঁদের ইন্টারভিউ হয়ে যাবে। তিনি জানান, পদ্ধতিগত কিছু সমস্যায় কিছুটা সময় লেগেছে। প্রচুর আবেদনপত্র জমা পড়েছে। প্রাথমিক ভাবে ২৮ জুন ইন্টারভিউয়ের দিন ঠিক হয়েছে।
সম্প্রতি নদিয়া, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে অনেকেই লো-ভোল্টেজের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করেন। দ্রুত এই সমস্যা মেটাতে বিদ্যুৎকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তৃপক্ষ তার পরেই শূন্য পদ পূরণ করতে নড়েচড়ে বসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy