—ফাইল চিত্র।
ইঙ্গিত মিলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। দলের শীর্ষ নেতাদের প্রকাশ্য বক্তব্যে তা এ বার স্পষ্ট হল। রাজ্য তৃণমূলের দুই প্রধান পদাধিকারী সুব্রত বক্সী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই আগামী দিনের কর্ণধার। তিনিই প্রতীক। অভিষেক বলেছেন, দল তাঁকে যে দায়িত্ব দেবে, তিনি তা পালন করতে প্রস্তুত।
ডায়মন্ড হারবারে এ দিন অভিষেকের সাংসদ জীবনের চতুর্থ বছর উপলক্ষে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। সেই অনুষ্ঠানেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘ভবিষ্যতের কাণ্ডারী অভিষেক।’’ আর দলের মহাসচিব পার্থবাবু বলেন, ‘‘চিরকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না। আমরাও থাকব না। পরবর্তী প্রজন্মের মানুষকে রক্ষা করবে অভিষেকের নেতৃত্ব। অভিষেকই সারা বাংলার প্রতীক।’’ অভিষেক অবশ্য বলেন, ‘‘দলে নেত্রীই সব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাদ দিলে এখানে এক নম্বর, দু’নম্বর, তিন নম্বর কেউ নেই। তবে দল যা দায়িত্ব দেবে, পালন করব।’’
কিছুদিন ধরে মমতা বলে আসছেন, দলে আগামী প্রজন্মের নেতা তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুনদের দায়িত্ব নিতে হবে। কয়েক মাস আগে ডুমুরজলায় যুব তৃণমূলের সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আগামী প্রজন্মকে অভিষেক, শুভেন্দু (অধিকারী) নেতৃত্ব দেবে।’’ ইদানীং অবশ্য একই বন্ধনীতে শুভেন্দুর নাম সে ভাবে শোনা যায় না।
অন্য দিকে, অভিষেক যে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনেক বেশি সক্রিয়, তারও ইঙ্গিত মিলেছে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূলের পথে নামায়। গত দেড় সপ্তাহে একের পর এক কর্মসূচিতে দলের প্রধান ‘মুখ’ ছিলেন অভিষেক। আজ, বুধবার পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে যাদবপুর ৮বি থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিলও হবে অভিষেকের নেতৃত্বেই।
সাংসদ হিসেবে নিজের কাজের সালতামামির বই অভিষেক প্রতি বছরই প্রকাশ করেন। সে সম্পর্কে পার্থবাবুর মন্তব্য, ‘‘দেশের কোনও সাংসদ এ ভাবে নিজের রিপোর্ট কার্ড দেন না। এই উদ্যোগ অভিনব।’’ দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ বক্সীও বলেন, ‘‘আমিও একজন সাংসদ। আমার থেকে এক পা এগিয়ে অভিষেক এমন বই বার করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy