এমন আচমকা সব কিছু ঘটে গেল, যে এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।
আমরা চার বন্ধু মিলে রাস্তার ধারে ক্রিকেট খেলছিলাম। আর আমার দাদারা চার জন মিলে বসে তাস খেলছিল। সেই সময় দেখি সাদা রঙের একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে গিয়ে একটি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিল। মোটর সাইকেলের চালক রাস্তার উপরে পড়ে যায়। এরপর তিনি চিৎকার করলে এলাকার মানুষেরা সবাই মিলে গাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে যান। আমরাও খেলা ছেড়ে গাড়িটির কাছে যাই। আমার দাদা অসীম ও তাঁর বন্ধুরাও যায়। সবাই মিলে গিয়ে কেন জোরে গাড়ি চালানো হচ্ছিল, তা জানতে চাই। তবে গাড়ির মধ্যে বসে থাকা চার জন কোনও কথা বলছিল না। গাড়ির জানলা কাচ দিয়ে ঢাকা ছিল। এলাকার লোকেরা বলাবলি করছিল গাড়িটি সরকারের। সবাই মিলে গাড়ি থেকে ওই চার জনকে নামতে বলে। তবে গাড়ির কোন কথা শুনছিল না। তারা কিছুতেই গাড়ি থেকে নামছিল না। সেই সময় কয়েকজন গাড়ির সামনের কাচে ঢিল মারে। তখনও দেখি গাড়ির চালকের পাশে বসে থাকা একজন লোক ছোট বন্দুকে গুলি ভরছে। আমি চিৎকার করেছিলাম—‘যে সবাই পালাও।’ এরপরে চালকের পাশের গাড়ির কাচটি খুলে ওই লোকটি গুলি চালাতে থাকে। আমরা সবাই দৌড়ে পালিয়ে যাই।
এই গাড়ি থেকেই গুলি ছুটেছিল।
এলাকার সবাই যে যেমন পারছে ছুটছে। এরপরেই গাড়িটি পালিয়ে যায়। এরপরই দেখি দাদা ও তাঁর বন্ধু রাহুল পাসোয়ান মাটিতে পড়ে রয়েছে। তাঁদের মাথা দিয়ে দিয়ে খুব রক্ত বের হচ্ছে। চাপচাপ রক্ত বের হচ্ছে দাদার মাথা দিয়ে। দেখে খুবই ভয় লাগছিল। এরপর সব লোকজন ছুটে আসে। আর বলাবলি করতে থাকে দাদা নাকি মারা গিয়েছে। আমি দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে জানাই। বাবা মা সবাই মিলে দাদাকে মালদহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শুনতে পাই দাদা সত্যি মারা গিয়েছে।
—নিজস্ব চিত্র।