মুখোমুখি: ভাঙড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক প্রশাসনের। শুক্রবার। ছবি: সামসুল হুদা
আপাতত জট কাটল ভাঙড়ে বিদ্যুতের সাব স্টেশন তৈরির কাজে। ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে শুক্রবার আলোচনায় বসেন আন্দোলনকারীরা। ঠিক হয়েছে, থমকে থাকা উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। সেই সঙ্গে চলবে সাব স্টেশনের কাজ। ৩১ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা আন্দোলনকারীদের। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘এলাকার কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করব। গাফিলতি রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখব।’’
আন্দোলনের জেরে বহু দিন থমকে ছিল পাওয়ার গ্রিডের কাজ। বহু সংঘর্ষ, রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। পরে প্রশাসন ও আন্দোলনকারী— দু’পক্ষই সুর নরম করে আলোচনার টেবিলে বসে। ঠিক হয়, পাওয়ার গ্রিডের বদলে ভাঙড়ে তৈরি হবে বিদ্যুতের সাব স্টেশন। আন্দোলনকারীরা শর্ত দেন, পাশাপাশি কিছু উন্নয়নের কাজও করতে হবে প্রশাসনকে।
এই শর্তেই শুরু হয় সাব স্টেশনের কাজ। কিন্তু অভিযোগ উঠতে শুরু করে, উন্নয়নের যে সব কাজে হাত দেওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই এগোচ্ছে না। বৃহস্পতিবার তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মানুষজন। আটকে যায় কাজ। ওই দিনই নামখানায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ভাঙড়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত জমি কমিটির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতির। ছিলেন পিডিসিএল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ কর্তারাও। ব্লক প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আপাতত পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত এলাকায় পথঘাট তৈরি, আলো লাগানো, একশো দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে। সাব স্টেশনের কাজ যেমন চলছে, সে ভাবেই চলবে।
জমি কমিটির সদস্য মির্জা হাসান বলেন, ‘‘আমাদের জানানো হয়েছিল, সাব স্টেশন তৈরির পাশাপাশি উন্নয়নের কাজও হবে। কিন্তু সে সব না হওয়ায় সাব স্টেশনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন বৈঠকে সাময়িক জট কাটলেও ৩১ তারিখের আলোচনার দিকে তাকিয়ে আছি আমরা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘জেলা প্রশাসনের ভূমিকা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy