তালড্যাংরায় সাংবাদিকের উপরে হামলায় অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা-সহ চার জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার ধৃত চার জনকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে তাঁদের দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।
অভিযোগ, সোমবার রাতে বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা থানার সামনেই এবিপি-আনন্দের সাংবাদিক স্বপন নিয়োগীর উপরে চড়াও হন ওই ব্লকের যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সৌমেন মাঝি এবং যুব তৃণমূল কর্মী গোবিন্দ মাজি, শুভজিৎ হাজরা ও তাপস মাঝি। সাংবাদিকের মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে রাস্তায় ফেলে রড দিয়ে পেটানো হয় তাঁকে। ভোজালি দিয়ে কোপও মারা হয়। গুরুতর জখম স্বপনবাবুকে রাতেই বাঁকুড়া মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার পুলিশ অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মারধর, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও চুরির মতো জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে ধৃতেরা জানান, হামলার পরেই তাঁরা গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় একটি জঙ্গলে ভোজালিটি ফেলে দেন। পুলিশ খোঁজ চালালেও ওই অস্ত্রটি পাওয়া যায়নি।
আহত সাংবাদিক কলকাতার নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। তাঁকে এ দিন দেখতে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর অমিয় পাত্র ও সুজন চক্রবর্তী। গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। ঘটনাটিকে ‘গণতন্ত্রের উপরে শাসক দলের আক্রমণ’ বলে বর্ণনা করেছেন রূপা। সূর্যকান্ত মিশ্রর কথায়, ‘‘আক্রমণ এখন আর শুধু বিরোধীদের উপরে সীমাবদ্ধ নেই। ছাত্র, যুব থেকে মহিলা বা শিশু, এমনকী সাংবাদিক— কেউ এখন এ রাজ্যে নিরাপদ নন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy