Advertisement
E-Paper

১০ মাসের শিশুকে রেখে মারা গেলেন নবান্নের সামনে অগ্নিদগ্ধ যুবক

নবান্নের সামনে অগ্নিদগ্ধ যুবকের মৃত্যু হল। নবান্নের সামনে শুক্রবার গায়ে আগুন দিয়েছিলেন সালকিয়ার বাসিন্দা বাপন সাহা (৪১)। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিনই রাতে এসএসকেএমে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০২
ছেলে নিয়ে বাপন সাহার স্ত্রী শর্মিষ্ঠা। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

ছেলে নিয়ে বাপন সাহার স্ত্রী শর্মিষ্ঠা। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

নবান্নের সামনে অগ্নিদগ্ধ যুবকের মৃত্যু হল। নবান্নের সামনে শুক্রবার গায়ে আগুন দিয়েছিলেন সালকিয়ার বাসিন্দা বাপন সাহা (৪১)। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিনই রাতে এসএসকেএমে তাঁর মৃত্যু হয়।

শুক্রবারের ঘটনার পরেই এলাকার লোকজন এমনকি বাপনবাবুর স্ত্রীও মুখ খুলতে না চাইলেও শনিবার তাঁরা বাপনবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত এক স্থানীয় প্রোমোটারের অবিলম্বে কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন। বিজেপির পক্ষ থেকেও স্থানীয় গোলাবাড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনার পর থেকে প্রোমোটারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীদের এক অংশের অভিযোগ, বাপনবাবুর সালকিয়ার ৪৫ নম্বর ত্রিপুরা লেনে বাড়ির ঢোকার মুখেই সাততলা ফ্ল্যাট বানাচ্ছিলেন ওই প্রোমোটার। এর ফলে তাঁর ঘরে ঢোকা বেরোনোর সমস্যা হচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করায় প্রোমোটারের পাঠানো একদল যুবকের হাতে বৃহস্পতিবার চরম হেনস্থা হতে হয় তাঁকে। এর পরে ওই দিনই সকলের চোখের সামনে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু এলাকার লোকেরা তাঁকে ধরে ফেলায় সে যাত্রায় বেঁচে যান। এর পরের দিনই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আর ফেরেননি। শুক্রবার তাঁকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নবান্নের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। বাপনবাবুর দশ মাসের একটি শিশুপুত্র রয়েছে। তাঁর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা সাহা বলেন, ‘‘ওই দিন যে ভাবে প্রোমোটারের লোকজন ওঁকে মারধর করল, আমাকে ঠেলে ফেলে দিল, আমার শাশুড়ির নামে গালিগালাজ করল তা উনি সহ্য করতে পারেননি। চাকরি না পাওয়ার জন্য মানসিক যন্ত্রণায় আমার স্বামী আত্মহত্যা করার চেষ্টার করেছেন এই অভিযোগ মিথ্যা। আমার স্বামী অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই নবান্নের সামনে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন।’’

পুলিশ শর্মিষ্ঠাদেবীর অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের মতে, ওই যুবক চাকরি না পাওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ওই পরিবারের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেব।’’ এই ঘটনার পরে নবান্নের নিরাপত্তা কঠোর করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, নবান্নের সামনের সেতুর রাস্তায় পুলিশ পিকেট বাড়ানো হয়েছে এবং সেতুর নীচে গাড়ি রাখা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

Death Fire Youth Nabanna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy