সপ্তাহের গোড়ায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দু’তিন দিনের মধ্যে বাজারে জ্যোতি আলুর দাম কমবে। সপ্তাহের প্রায় শেষে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর সেই আশ্বাস নিছক কথার কথাই থেকে গিয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত আলুর দামের কোনও হেরফের হয়নি। না পাইকারি, না খুচরোয়।
এ দিন জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ২০-২২ টাকা কিলোগ্রাম দরে। চন্দ্রমুখীর গড় দাম ছিল ২৪-২৬ টাকা কেজি। এ-সব শুনে নিজের আগের দিনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে কিছুটা সরে এসে কৃষিমন্ত্রী আরও এক প্রস্ত আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন। এ দিন নবান্নে তিনি বলেন, “আমরা দাম কমানোর চেষ্টা করছি। এখনও কমেনি। ২৫ অগস্ট টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে এউ বিষয়ে আবার আলোচনা হবে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠকে থাকতে পারেন বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
আলু ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকার নিজেদের ইচ্ছেমতো আলুর দাম বেঁধে দিতেই পারে। কিন্তু বাজার-অর্থনীতির নিয়ম মেনে আলুর দাম ২০-২২ টাকা কিলোগ্রামই থাকবে। তাঁদের কথায়, হিমঘর থেকে খুচরো বাজারে আসার পথে প্রতিটি ধাপে যতটুকু খরচ যুক্ত হওয়ার কথা, তা-ই হচ্ছে। তাই আলুর দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানো ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত ১৭ অগস্ট থেকে কয়েক দিনের জন্য অন্যান্য রাজ্যে আলু রফতানি করার অনুমতি দিয়েছিল সরকার। কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানানো হয়, রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে যদি কোনও ব্যবসায়ী আলু পাঠানোর চেষ্টা করেন, তা হলে সরকার ফের তা আটক করে ১৪ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করবে।
ব্যবসায়ীরা এ দিন জানান, তাঁরা সরকারের কাছে ফের অন্য রাজ্যে আলু পাঠানোর অনুমতি চাইবেন। রফতানি করতে না-দিলে বাজারে আলুর দাম আরও বাড়বে বলেই তাঁদের অভিমত। তাঁরা মনে করেন, রফতানির সুযোগ থাকলে ব্যবসায়ীরা হিমঘর থেকে আলু বার করবেন। সে-ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে এখানকার বাজারগুলিতেও আলু সরবরাহ করবেন তাঁরা। সেই ব্যবস্থায় দামও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy