জমি-প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আবার প্রতারণারই দু’টি মামলা দায়ের হল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খানের বিরুদ্ধে। পুলিশি সূত্রের খবর, নতুন দু’টি প্রতারণার মামলার মধ্যে একটি হয়েছে নিউ টাউন থানায়, অন্যটি রানিগঞ্জে।
নিউ টাউনে বেশ কয়েক বিঘা জমি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে উত্তরপ্রদেশের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আসিফ প্রচুর টাকা নেন বলে অভিযোগ। জমি না-পেয়ে সেই ব্যবসায়ী অভিযোগ দায়ের করায় গ্রেফতার হন আসিফ। পুলিশের খবর, এ বারেও আসিফের নামে যে-দু’টি মামলা হয়েছে, তার একটি জমি-প্রতারণা নিয়েই। রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বিধাননগর পুলিশের কাছে আসিফের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, আসিফ তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকায় দু’কাঠা জমি পাইয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী অভিযোগকারী পাঁচ লক্ষ টাকা দেন আসিফকে। কিন্তু তিনি জমি পাননি, ফেরত পাননি টাকাও।
রানিগঞ্জে আসিফের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাটিতে অবশ্য জমির কোনও ব্যাপার নেই। সেখানে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, আসিফ চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি দেননি।
আসিফের আইনজীবী লোকেশ শর্মা শুক্রবার জানান, এর আগেও আসিফের নামে দু’টি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই দু’টি মামলাই বিচারাধীন। পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে আসিফ এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ফের দু’টি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হল। আইনজীবীর অভিযোগ, সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে আসিফ যাতে সিবিআইকে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আর কোনও তথ্যপ্রমাণ দিতে না-পারেন, সেই জন্যই তাঁকে জেলে আটকে রাখার চক্রান্ত চলছে।” এর আগে আসিফ তৃণমূলকে ‘ডাকাতদের দল’ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ডাকাতরানি’ বলেছিলেন। তাঁরও অভিযোগ, শুধু জেলে রাখার জন্যই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা আনছে।
এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা অবশ্য বলেন, “আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy