Advertisement
E-Paper

পুজো দেখতে বিদেশি পর্যটকদের প্যাকেজ

বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কলকাতার পুজোকে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে শো-কেস করতে চান। তার পরের দিনই রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু ভিন্ রাজ্য বা বিদেশ থেকে শহরের পুজো দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য প্রথম বার আলাদা প্যাকেজ ঘোষণা করলেন। সরকারি অতিথি নিবাসে রেখে শহরের পুজো দেখানোর এই প্যাকেজের কথা জানা যাবে সোমবার থেকে, পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৪ ০৩:১৯
হে গরবিনী...রাজ্য সরকার আয়োজিত পর্যটনমেলায় গুজরাতের নৃত্যশিল্পীরা। শুক্রবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।  ছবি: রণজিৎ নন্দী।

হে গরবিনী...রাজ্য সরকার আয়োজিত পর্যটনমেলায় গুজরাতের নৃত্যশিল্পীরা। শুক্রবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। ছবি: রণজিৎ নন্দী।

বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কলকাতার পুজোকে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে শো-কেস করতে চান।

তার পরের দিনই রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু ভিন্ রাজ্য বা বিদেশ থেকে শহরের পুজো দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য প্রথম বার আলাদা প্যাকেজ ঘোষণা করলেন। সরকারি অতিথি নিবাসে রেখে শহরের পুজো দেখানোর এই প্যাকেজের কথা জানা যাবে সোমবার থেকে, পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে।

এ দিন পর্যটন মেলার সূচনায় উপস্থিত মন্ত্রী জানান, কলকাতায় যে দু’টি সরকারি অতিথি নিবাস রয়েছে, সেখানে ৪০-৪৫টি ঘর আছে। পর্যটকদের সেখানে রাখা হবে। খাওয়ানো হবে সেখানকার ক্যান্টিনে। বড় বাসে করে তাঁরা প্রতি দিন শহরের ২০টি পুজো দেখতে পাবেন। সারা দিন শহর ঘুরিয়ে তাঁদের আবার ফিরিয়ে আনা হবে অতিথি নিবাসেই। ব্রাত্য বলেন, “এ বার নবমী ও দশমী একই দিনে পড়েছে। তাই, প্যাকেজ হবে তিন দিনের।”

ক্ষমতায় আসার পর থেকে পর্যটনকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন বছরে সেই মন্ত্রক বার বার হাতবদল হয়েছে। কখনও রচপাল সিংহ, কখনও কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। সম্প্রতি ওই দফতরের দায়িত্বে এসেছেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়, “পর্যটনের ক্ষেত্রে এত দিনের মানসিকতা বদলানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। ১২ লক্ষ বিদেশি গত বছর এ রাজ্যে বেড়াতে এসেছেন। ফলে, আমাদেরও সেই রকম পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে।” ঝাড়গ্রাম, অযোধ্যা পাহাড়, বোলপুর, ডুয়ার্স, ঝড়খালি, জলপাইগুড়ির গজলডোবায় পর্যটকদের সুবিধার্থে নতুন পরিকল্পনা আনা হচ্ছে বলেও এ দিন মন্ত্রী দাবি করেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষকে জুড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ দিন ব্রাত্যবাবুর সঙ্গে পর্যটন মেলা ঘুরে দেখেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। ছিলেন উত্তরাখণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী দীনেশ দাসা, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আবিদা ইসলামও। ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র মিলিয়ে এ বার মেলায় তিনশোরও বেশি স্টল দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা ছাড়াও বাংলাদেশ, চিন, সুইৎজারল্যান্ড, তাইল্যান্ড-সহ ৯টি দেশ এবং ২৮টি রাজ্য মেলায় অংশ নিয়েছে।

tourism fare special package foreign tourist
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy