Advertisement
০৫ মে ২০২৪

পুরভোট কবে, রাজ্যকে হাইকোর্ট দেখাল কমিশন

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের ১০টি পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা। সেই নির্দেশ মেনে ভোট করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচন কমিশনও। কিন্তু রাজ্য সরকার আগ্রহী নয়। এই অবস্থায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করার দায় নবান্নের ঘাড়েই চাপাচ্ছে কমিশন। ১১ ডিসেম্বর কমিশনের তরফে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তারা এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুক। যে-হেতু কমিশন ভোট পিছোয়নি, বরং ভোট করতে প্রস্তুত, তাই তাদের আদালতে যাওয়ার দায় নেই। পুরসচিব বিপি গোপালিকাকে দেওয়া ওই চিঠির কোনও জবাব সোমবার পর্যন্ত কমিশন পায়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৪২
Share: Save:

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের ১০টি পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা। সেই নির্দেশ মেনে ভোট করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচন কমিশনও। কিন্তু রাজ্য সরকার আগ্রহী নয়। এই অবস্থায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করার দায় নবান্নের ঘাড়েই চাপাচ্ছে কমিশন।

১১ ডিসেম্বর কমিশনের তরফে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তারা এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুক। যে-হেতু কমিশন ভোট পিছোয়নি, বরং ভোট করতে প্রস্তুত, তাই তাদের আদালতে যাওয়ার দায় নেই। পুরসচিব বিপি গোপালিকাকে দেওয়া ওই চিঠির কোনও জবাব সোমবার পর্যন্ত কমিশন পায়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়।

রাজ্য সরকার ওই ১০টি পুরসভা-সহ রাজ্যের ৯২টি পুরসভার ভোট আগামী বছরের এপ্রিলে করতে চায় বলে ৪ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে কমিশনকে জানিয়েছে। সরকারের চিঠির ভিত্তিতে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেন কমিশনার। আইনজীবী জানান, যে-হেতু হাইকোর্ট ওই ১০টি পুরসভার ভোট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে করতে বলেছে, তাই ওই সময়েই ভোটের ব্যাপারে কমিশনের প্রস্তুত থাকা উচিত। সেই সময়ের মধ্যে ভোট করতে না-পারলে রাজ্যের তরফেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, পুরসভার নির্বাচনের দিন ঠিক করার এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের। আর সেই ভোট করানোর দায়িত্ব কমিশনের।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, তারা আদালতের নির্দেশ মেনেই চলতে চায়। তাই নিজেরা হাইকোর্টে না-গিয়ে তারা রাজ্য সরকারের কোর্টে বল পাঠিয়ে দিল। এ বার সরকারকেই আদালতে যেতে হবে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম, কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, প্রয়োজন পড়লে রাজ্য সরকার এবং কমিশন একসঙ্গে হাইকোর্টে গিয়ে জানাবে, দফায় দফায় ভোট নিতে গেলে প্রশাসনিক সমস্যা হয়। তা ছাড়া ঘনঘন নির্বাচনের ফলে ব্যাঘাত ঘটে উন্নয়নের কাজে। তাই রাজ্যের ৯২টি পুরসভার ভোট আগামী এপ্রিলে করার অনুমতি দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আর্জি জানাবে তারা।

পুরমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এ দিন কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, “সরকারের চিঠির উত্তরে আমরা এ দিন আমাদের আইনজীবীর নোট-সহ চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি। সরকার তার পরিপ্রেক্ষিতে কী বলছে, না-জেনে আমি কোনও কথা বলব না।”

রাজ্যের ১৭টি পুরসভার নির্বাচন নিয়ে প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে যান। তাঁর অবসরের পরে নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় সরকারের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে আবেদন জানান, ওই ১৭টি পুরসভার মধ্যে ১০টির ভোট সরকারের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে করতে চায় তারা। বাকি সাতটি পুরসভা কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে। হাইকোর্ট তখন ওই ১০টি পুরসভার ভোট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে করার নির্দেশ দেয়। এখন আবার রাজ্য ওই ১০টি পুরসভার ভোটও পিছিয়ে এপ্রিলে নিয়ে যেতে চাইছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

municipal vote highcourt election commission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE