তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল কিংবা সিপিএমের আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্যের অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। নির্বাচন কমিশন ওই দুই নেতাকে শো-কজ নোটিসও পাঠিয়েছে। এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ উঠল বারাসতের বিজেপি প্রার্থী, জাদুকর পি সি সরকারের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার তাঁকে শো-কজ নোটিসও পাঠিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব চাওয়া হয়েছে।
বুধবার বারাসত থেকে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত বিজেপির পদযাত্রার সময়ে পি সি সরকার মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন মন্তব্য করেছেন বলে শুক্রবার জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পি সি সরকারের বক্তব্যের সিডিও দেওয়া হয় সঙ্গে। জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রবিবার বলেন, “ওঁকে জাদুকর হিসেবে সম্মান করতাম। কিন্তু এখন তো দেখছি ওঁর মধ্যে শিক্ষার অভাব আছে।” বিজেপি প্রার্থীকে গ্রেফতার এবং তাঁর প্রার্থিপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
পি সি সরকার এ দিন প্রচারে বেরিয়েছিলেন দেগঙ্গায়। শো-কজের প্রাপ্তি স্বীকার করে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে জানাব।” রাজনীতিতে আনকোরা বিজেপি প্রার্থী অবশ্য যথেষ্ট ঝাঁঝের সঙ্গেই পাল্টা বলেন, “তৃণমূল তো দেখছি নিজেরাই খেপে উঠেছে। আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে কোনও কুরুচিকর মন্তব্য করিনি। যা বাস্তব, এক জন সাধারণ নাগরিক হিসাবে সে কথাই তুলে ধরতে চেয়েছি।” এ প্রসঙ্গেই শাসক দলকে তাঁর হুঁশিয়ারি, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনলে আমিও পাল্টা ব্যবস্থা নেব।”
এ দিকে, সিপিএমের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, দিন তিনেক আগে বারাসতের কাজিপাড়ায় জেলার বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে সভা করেছেন সিপিএম নেতা মজিদ আলি ওরফে মজিদ মাস্টার। ভোটের সময়ে ওই এলাকায় তৃণমূল তো বটেই, সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কার কথা জেলাশাসককে লিখিত জানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। এ বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য নেপালদেব ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল এখন অন্য উপায় না পেয়ে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ জানিয়ে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy