টিকল না জোট। এক শরিক ঘূর্ণাবর্ত সরে গিয়েছে বাংলাদেশের দিকে। শক্তিহীন হয়ে পড়েছে অন্য শরিক নিম্নচাপ অক্ষরেখা। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ঘেঁষা বাংলাদেশের উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজ, মঙ্গলবারেও কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। শুধু তা-ই নয়, আটকে থাকা মৌসুমি বায়ু দু’টি পথেই ফের নড়াচড়া শুরু করেছে। আবহবিদদের আশ্বাস, দেরি যা হওয়ার হয়েছে। আরবসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব, দু’টি পথেই বর্ষা এ বার এগোতে পারে মসৃণ ভাবে।
সোমবার কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার আকাশ সকাল থেকেই ছিল মেঘে ঢাকা। সকালে ও দুপুরে বিভিন্ন জায়গায় দু’-এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে বলা হয়, ওই ঘূর্ণাবর্তের জেরে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে। তার প্রভাবে আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কাল, বুধবার থেকে ফের আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা।
স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী কেরলে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে ১ জুন বর্ষা ঢোকার কথা। কিন্তু আরবসাগরে এবং মায়ানমারে মৌসুমি বায়ুর দু’টি শাখা আটকে থাকায় বর্ষা রাস্তাতেই অনেকটা দেরি করে ফেলেছে। তবে আরবসাগর এবং বঙ্গোপসাগরে বায়ুপ্রবাহের পরিবর্তন হওয়ায় দু’টি পথেই বর্ষার কিছুটা সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, বর্ষা নির্দিষ্ট সময়ের তিন দিন আগে মায়ানমারে পৌঁছে গিয়েছে। তবে বায়ুপ্রবাহের দ্রুত পরিবর্তনের সুবাদে গত ১৩ দিন মৌসুমি বায়ু সেখানে স্থির হয়ে এক জায়গাতেই আটকে ছিল। এ দিনই বর্ষার ওই অংশটি সক্রিয় হয়েছে। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যেই বর্ষা ওই পথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ঢুকে পড়বে বলে আবহবিদদের আশা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আরবসাগর দিয়ে মৌসুমি বায়ুর মূল যে-অংশটির কেরল দিয়ে মূল ভূখণ্ডে ঢোকার কথা, সেটিও এ দিন সক্রিয় হয়েছে। এর ফলে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে কেরল দিয়ে বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ওই পথে বর্ষার যে-অংশটি কেরলে ঢোকে, সেটিই সাত দিনের মধ্যে চলে আসে দক্ষিণবঙ্গে। আর তিন-চার দিনের মধ্যে বর্ষা কেরলে ঢুকলে তা আগামী সপ্তাহের শেষাশেষি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে চলে আসতে পারে বলে আশা করছেন আবহবিদেরা।