Advertisement
E-Paper

বার বার চুরি সল্টলেকে, বালিতেও

ফের চুরি সল্টলেকে। এ বার সাতসকালেই। শনিবার বাড়িতে বাসিন্দারা থাকাকালীনই সিএল ব্লকের একটি বাড়ি থেকে চুরি গেল ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন ব্লকে বাড়িতে ঢুকে চুরির ঘটনা বাড়ছে। সল্টলেকের নিরাপত্তা নিয়ে তাই আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৫৩

ফের চুরি সল্টলেকে। এ বার সাতসকালেই।

শনিবার বাড়িতে বাসিন্দারা থাকাকালীনই সিএল ব্লকের একটি বাড়ি থেকে চুরি গেল ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন। এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন ব্লকে বাড়িতে ঢুকে চুরির ঘটনা বাড়ছে। সল্টলেকের নিরাপত্তা নিয়ে তাই আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। অন্য দিকে, শুক্রবার রাতে বালির একটি স্কুলে কয়েকটি দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষকের ঘরেও লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। সেখানেও পর পর চুরির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশ সূত্রের খবর, সল্টলেকের সিএল ব্লকের ওই বাড়িটিতে তিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকেন। তাঁদের এক জন সম্প্রতি বাড়ি গিয়েছেন। এ দিন সকালে কৌশিক বারুই নামে আর এক যুবক বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি আটকে পাড়ার দোকানে গিয়েছিলেন। ভিতরে তখন অনিন্দ্য কাজী নামে আর এক যুবক ঘুমোচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে কৌশিক এসে দেখেন, ঘরের ভিতর থেকে তিনটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোন উধাও। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কৌশিক ফিরে আসার সময়ে ছিটকিনি বন্ধ ছিল। ঘরের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা অনিন্দ্যও কিছু টের পাননি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ওই বাড়িতে চুরির আগে দুষ্কৃতীরা ভাল মতো নজরদারি চালিয়েছিল। শুক্রবার সকালেই এফসি ব্লকের একটি ফাঁকা বাড়ির গ্রিল কাটা দেখে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশিরা। পুলিশ গিয়ে দেখে, ঘর লণ্ডভণ্ড করে লুঠ চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পরপর এমন ঘটতে থাকায় পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা। বাইরে থেকে চাকরি

করতে আসা এক যুবকের বক্তব্য, “বেশি ভাড়া দিয়ে সল্টলেকে থাকি। কিন্তু এমন বেহাল নিরাপত্তা হলে থাকা দায়।”

বিধাননগর পুলিশের এক কর্তার বক্তব্য, সল্টলেকে চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দলকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, সল্টলেকে বাইরে থেকে বিভিন্ন দল ঢুকে চুরি-ছিনতাই চালাচ্ছে। এই দলগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর চলছে বলে দাবি পুলিশের।

এ দিকে, শুক্রবার রাতে বালি সরখেল পাড়ার শিক্ষানিকেতন বিদ্যালয়ের (বালক) কয়েকটি দরজার তালা ভেঙে প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢুকে নথিপত্র তছনছের অভিযোগ উঠেছে। খোয়া গিয়েছে একটি পিতলের ঘণ্টা ও কম্পিউটারের মনিটর। শনিবার সকালে স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এসে ঘটনাটি দেখতে পান। তাঁরাই বালি থানায় খবর দেন।

হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা এ দিন স্কুলে যান। পুলিশ জানায়, পিছন দিকের গ্রিলের দরজার তালা ভেঙে স্কুলের ভিতরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। এর পরে নীচের একটি দরজার তালা ভেঙে দোতলায় ওঠে তারা।

গত কয়েক মাস ধরে বালি জুড়ে চুরির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। তবে এ দিনের ঘটনার পিছনে কোনও দুষ্কৃতী দল আছে, না কি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে এই চুরি, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। পুলিশ জানায়, এই স্কুলে অনেক দিন ধরেই নিরাপত্তারক্ষীর পদ শূন্য রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরেও স্কুলের অফিস ঘরের তালা ভেঙে চুরির চেষ্টা হয়েছিল।

এ দিন প্রধান শিক্ষকের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি আলমারির দরজা ভেঙে লকারও ভাঙা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্র লণ্ডভণ্ড। প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী বলেন, “স্কুল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে বালি থানা। তবুও পরপর দু’বার কী ভাবে এত তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঢুকল, বুঝতে পারছি না। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে।”

সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, “বিষয়টি নজরে এসেছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

theft laptop mobile salt lake
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy